কুষ্টিয়া চৌড়হাস ফুলতলা এলাকায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ধর্ষণের শিকার হয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগ এনে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। পরে এক অভিযান চালিয়ে ঘটনার নায়ক লম্পট ধর্ষককে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ওই ধর্ষকের বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটি তার নানা বাড়ি চৌড়হাস ফুলতলা এলাকায় থাকত। গত ২৩শে এপ্রিল মেয়েটির নানী ফোন করে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটির মাকে জানান তোমার মেয়ের পেটে ব্যাথা হচ্ছে এবং চলাফেরার মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এর পর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটি মা মেয়েটিকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে। নানী ও খালা মেয়েটিকে নিয়ে যায় কুষ্টিয়ার একটি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে বলে। আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখা যায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটি ১৯ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।
বিষয়টি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটির মা কে জানান হলে তিনি চৌড়হাস ফুলতলা মেয়েকে দেখতে আসেন এবং মেয়েটিকে বুঝানো হলে মেয়েটি ইঙ্গিতের মাধ্যমে তাকে বলে যে, পাশ্ববর্তী কালু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটির সাথে খারাপ কাজ করেছে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটি কালুর ঘর দেখিয়ে দেয়। কালুর স্ত্রী কুষ্টিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার কারণে কালু বাড়িতে একা থাকে। সে কোন কাজ করে না। কালুর স্বভাব চরিত্র ভাল না। কালু প্রায়ই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে তার নিজ রুমে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করত।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার কুন্ডু জানান, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটির মা থানায় এসে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহার আমলে নিয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং-৩২, তারিখ ২৫/০৪/২০১৯।
মামলার পর আসামি কুষ্টিয়া চৌড়হাস ফুলতলা এলাকার মৃত শামসুদ্দিন মোল্লার ছেলে মিন্টু মোল্লা ওরফে কালু (৩৫) কে আটক করতে সক্ষম হয়।