কুড়িগ্রামে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ,মামলা করতে বাঁধা
কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের দুর্গম চরের ১০ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীক অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
আজিবর রহমান (৩৫) নামে এক লম্পট নিজের ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে ঐ ছাত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে । পরে মেয়েটির আত্মচিৎকারে স্বজনরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে পরে তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসকরা।
নির্যাতিত পরিবারটিকে এক রকম গৃহবন্দী করে রাখা হত যাতে কারও কাছে অভিযোগ করতে না পারে। ঘটনার পাঁচদিন পর সুযোগ নির্যাতিত পরিবারটি পালিয়ে বুধবার সন্ধ্যা রাতে রাজীবপুর থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
থানায় দেওয়া অভিযাগ সূএে জানা গেছে, ঘটনার দিন ছাত্রী কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় লম্পট আজিবর রহমান। তাদের ফাঁকা বাড়ির একটি ঘরে নিয়ে ধারালা অস্ত্রের মুখে জিম্মি কর মেয়েটিকে তারপর জোরপূর্বক ধর্ষণ কর। অভিযুক্ত ধর্ষকর আর মেয়ের বাড়ি একই গ্রামে এবং তারা পূর্বপরিচিত।
রাজীবপুর থানায় অভিযাগ দায়ের করার পর কথা হয় নির্যাতিত ছাত্রীর দিনমজুর বাবা আবুল হোসেনের সাথে তিনি বলেন, “অভিযুক্ত ও তার পরিবারর সবাই সরকারি দল আ’লীগ করে। তারা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী। আমরা যাতে থানায় আসতে না পারি সেজন্য গ্রামে পাহাড়া বসাইছে। ৫দিন পর সুযোগ পাইয়া থানায় আইসা মামলা করছি। থানায় অভিযাগ দিছি এ খবর পাইল তারা কী যে করব তা আল্লাহ জানে।”
শংকর মাধবপুর গ্রামের বাসিদা এখলাছ হাসান বলেন, ধর্ষকের পরিবারর প্রভাবশালী গ্রামে তাদের ভয়ে কেউ কথা বলার সাহস পায় না।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে রাজীবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) পলাশ মন্ডল বলন, অভিযাগ পেয়েেছি।ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করে মামলা রেকর্ড করা হবে।