যশোরে শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ

যশোরে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষনের এক পর্যায় ৮ মাসের অন্তস্বত্বা হওয়ার অভিযোগে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।এক ধর্ষক ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন কিশোরী শিক্ষার্থীর মাতা।

এ মামলার আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা পশ্চিম পাড়ার মনির উদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান ও তার সহযোগী একই এলাকার ওহিদুর রহমানের ছেলে বিল্লাল।
(বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল) ধর্ষিতা শিক্ষার্থীর মাতা যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন,তার মেয়ে নবম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে।স্কুলে আসা যাওয়ার প্রাক্কালে মেহেদী হাসান প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রলোভন দিতো।

গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারী রাত ৮ টায় মেহেদী হাসান তার সহযোগী বিল্লালের সহযোগীতায় শিক্ষার্থী কিশোরীকে ডেকে নিয়ে খোলাডাঙ্গা পশ্চিম পাড়াস্থ ইসলামের নির্মানাধীন বাড়ীর মধ্যে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। বিল্লাল পাহারার ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করেন।এভাবে মেহেদী হাসান কিশোরীকে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষন করে আসছিল।গত ২৪ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ৮ টায় কিশোরীকে খোলাডাঙ্গা আকবর মিয়ার পোল্ট্রি ফার্মের পাশে নিয়ে মেহেদী হাসান জোরপূর্বক ধর্ষন করে।

বিল্লাল হোসেন পাহারার দায়িত্ব পালন করার এক পর্যায় কিশোরীর পরিবারের লোকজন খোঁজখবর নেওয়ার এক পর্যায় উক্তস্থান থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে।মেহেদী হাসান ও বিল্লাল দ্রুত পালিয়ে যায়। কিশোরী বাড়িতে বিষয়টি ফাঁস করে দেয়।

এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হলে বৃহস্পতিবার কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন ও আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দি গ্রহন করা হয়।