যশোর জেলা প্রশাসক ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

যশোর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং জেলা প্রশাসকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।(বুধবার ২৪শে এপ্রিল)একই কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার একেএম মহিদুর রহমানসহ ৫জন এ মামলার বাদী হয়েছেন।

যশোর সদর সহকারী জজ আদালতের বিচারক অভিযোগটি গ্রহণ করে বিবাদীদের প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন,কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডাক্তার হাফিজুর রহমান,বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড ঢাকার রেজিস্ট্রার,বোর্ড সদস্য ডাক্তার আনিসুর রহমান, কলেজের সভাপতি যশোর জেলা প্রশাসক,ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ডাক্তার আতিয়ার রহমান,ডাক্তার এসএম আব্দুল্লাহ,কলেজ কমিটির শিক্ষানুরাগী অ্যাডভোকেট এমএ গফুর,মাহমুদুর রহমান বাহার, কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী আল আমিন মৃধা, কলারোয়া হোমিও কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার আব্দুল বারী এবং ওই কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

মামলার বিবরণে জানা গেছে,এই মামলার ৫জন বাদীই হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক পদে কর্মরত।(২০০৫ সালের ৩১ অক্টোবর)থেকে অধ্যক্ষ না থাকায় আবু নছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।তিনি অবসরে গেলে শিক্ষকতায় ৭ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পান হাফিজুর রহমান।যা ছিল হোমিও বোর্ডের বিধিবহির্ভূত।

হোমিওপ্যাথিক কলেজ ১১ সদস্য বিশিষ্ট ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়।সেই বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিকট আত্মীয় ও নিজের পছন্দের লোক দিয়ে অসম্পূর্ণ একটি কমিটি গঠন করে বোর্ডে অনুমতির জন্য আবেদন প্রেরণ করেন।আজও তার কোন অনুমোদন হয়নি।

বিবাদী হাফিজুর রহমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার পর একাধিক ভুয়া ডিগ্রি লাগিয়ে চিকিৎসার নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন বলে তার ভিজিটিং কার্ডে উল্লেখ করা হয়েছে।প্যারামেডিকেল হোমিওকলেজ ও হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে তিনি বিভিন্নভাবে টাকা আদায় করে বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছেন বলে মামলায় বলা হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর