পরিচালক যখন নায়িকার স্বামী

সারাবিশ্বে এই চর্চাটা আছে। হলিউডে তো সবচেয়ে বেশি। হলিউডের পরের স্থানটা ধরে রেখেছে বলিউড। হারহামেশাই সেখানে পরিচালকের প্রেমে পড়ে নায়িকারা। এর মধ্যে বেশিরভাগই একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সম্পর্কে জড়ায়। কেউ কেউ পুরনোকে বাদ দিয়ে নতুন সম্পর্কে জড়ায়। এর মধ্যে অনেকের সংসার টিকে আছে, অনেকেরটা আবার ভেঙ্গেও গেছে। তবে বলিউডের ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার লক্ষণীয়। সিনেমার স্পট থেকে তাদের প্রেম হলেও বিয়ের পরে একসঙ্গে আর কারো তেমন কাজ করা হয়নি। কয়েকটি দম্পতি, যেমন:

মহেশ ভাট-সোনি রাজধান:

সোনি রাজদান এ পর্যন্ত ২৩টি চলচ্চিত্র অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি পরিচালনাও করেছেন। অভিনয় করেছেন ছোট পর্দায়েও। তিনি চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক মহেশ ভাটের দ্বিতীয় স্ত্রী। মহেশ লোরেন ব্রাইট কে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান, পূজা এবং রাহুল জন্মায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও দুজনেই বুঝলেন তাঁদের বিয়ে কোনমতেই বাঁচানো যাবে না। এরই মধ্যে নায়িকা সোনি রাজদানের প্রেমে পড়েন মহেশ। কিন্তু প্রথম স্ত্রী কিছুতেই বিবাহবিচ্ছেদ করতে চাইছিলেন না। ফলে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে মহেশ ও সোনির বিয়ে হয়। তাদের দুই মেয়ে শাহীন আর আলিয়া।

দীপ্তি নাভাল- প্রকাশ ঝা:

১৯৮৪ সালে ‘হিপ হিপ হুররে’ সিনেমার সেটে তাদের তাদের প্রেম শুরু হয়। প্রকাশ ঝার সঙ্গে সম্পর্ক ভালোই চলছিল। তাদের দত্তক নেয়া দুটি সন্তান রয়েছে। তবে দীপ্তির সঙ্গে পন্ডিত যশরাজের ভাগ্নে বিনোদ পন্ডিতের সঙ্গে সম্পর্কেও জড়ায়। ২০০২ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেলেও দীপ্তি আর প্রকাশের সম্পর্ক এখনো বেশ ভালো।

কালকি কোয়েচলিন ও অনুরাগ কাশ্যপ:

অনুরাগ‚ কাল্কি প্রেমে প্রেমে পড়েন ‘দেব ডি’ সিনেমার শুটিয়ের সময়। সেইসময় অনুরাগ আরতি বাজাজের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন, কালকির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে বিচ্ছেদ হয় আরতির সঙ্গে। দুই বছর লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকার পর ২০১১ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু সেই সম্পর্ক টেকেনি। ২০১৫ সালে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়।

রানি মুখার্জি ও আদিত্য চোপড়া:

বহু বছর ধরেই তাঁরা প্রেম করেছেন। কিন্তু প্রেমের কথা কোনদিন স্বীকার করেননি। অবশেষে ইতালিতে চুপিচুপি বিয়ে করে নেন। ২০১৫ সালে মেয়ে আদিরা জন্মায়। প্রযোজক পরিচালক আদিত্যর এর আগেও একটি বিয়ে ছিল। রানী তার দ্বিতীয় সংসার।

উদিতা গোস্বামী এবং মোহিত সুরি:

৯ বছর প্রেম করার পর অবশেষে ২০১৩ সালে বিয়ে করেন। ২০১৫ সালে তাদের দেবী নামে এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। ২০০৫ সালে মোহিতের প্রথম ছবি ‘জাহির’ -এর শুটিং চলাকালীন সময়ে উদিতার প্রেমে পড়েন তিনি।

সোনালী বেন্দ্রে ও গোল্ডি বহেল: দুজনের পরিচয় ‘নারাজ’ ছবির সেটে। তবে সোনালীকে তার অনেক আগ থেকেই পছন্দ করতেন গোল্ডি। বেশ কয়েকবার প্রপোজও করেন। কিন্তু মানাতে পারেননি তখনকার হার্থথ্রুবকে। কিন্তু গোল্ডি হাল ছাড়েননি। অবশেষে ‘নারাজ’ সিনেমায় সফল হন গোল্ডি। ২০০২ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলেও আছে।

রামায়া কৃষনান: বাহুবলির অভিনেত্রী বলে একটু বেশি পরিচিত। রামায়া পরিচালক কৃষ্ণা ভামসিকে বিয়ে করেছিলেন। ‘চন্দ্রলেকা’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তাদের প্রেম শুরু হয়। সেটা ১৯৯৮ সালের কথা। তারা বিয়ে করেন ২০০৩ সালে। সম্পর্কটা এখনো অটুট আছে এই দম্পতির। শাহরুখ খানের নায়িকা হয়েও এই অভিনেত্রী ‘চাহাত’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন।

জেপি দত্ত- বৃন্দিয়া গোস্বামি: বলিউডের সত্তর আশি দশকের অভিনেত্রী বৃন্দিয়া। তিনি প্রথমে বিয়ে করেছিলেন বিনোদ মেহরাকে। পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে ‘সারহাদ’ সিনেমার সিনেমার সেটে দেখা হয় জেপি দত্তের সঙ্গে। ১৯৮৫ সালে বিনোদকে ডিভোর্স দিয়ে জেপি দত্তকে বিয়ে করেন এ নায়িকা।

এছাড়াও শেফালি শাহ- বিপুল শাহ, রাখি-গুলজার, রমেশ সিপ্পি- কিরণ জুনেজা, মীনা কুমারি-কামাল আমরোহি, সাধণা- আরকে নায়ার, বিআর ইশারা- রেহানা সুলতানা ও শেখর কাপুর- সুচিত্রারা রয়েছেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর