সংখ্যালঘু ধর্মের অপমান! বিকৃত পোস্টে এখনও চুপ ফেসবুক!

নির্বাচনী আবহে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার অত্যধিক বেশি হয়। মিথ্যা, ভুয়ো বা আপত্তিকর বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা চলে। ভোটের সময় সেই সব বিষয়ই আতসকাচের নীচে ফেলবে বলে জানিয়েছিল ফেসবুক। ২৪ ঘণ্টার ওয়ার রুমে খুলে এ দেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন ভুয়ো, মিথ্যা বা আপত্তিকর পোস্ট-সহ যাবতীয় বিষয় নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছিল মার্ক জুকেরবার্গের সংস্থা।

যদিও কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার কীভাবে রুখবে ফেসবুক তা আজও স্পষ্ট হয়নি। যার প্রত্যক্ষ প্রমাণ এই সময় ডিজিটালেরই ফেসবুক পেজে দেখা গেছে। যেখানে ‘ আমি মোদী নই, আমার বায়োপিকও হচ্ছে না, ট্যুইটারে লিখলেন মমতা + ‘, শীর্ষক প্রতিবেদনের ফেসবুক পোস্টের কমেন্ট বক্সে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে অত্যন্ত কুৎসিত ও নোংরা আক্রমণ করা হয়েছে।

ফটো এডিট করে জৈন তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের পরিবর্তে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বসিয়ে কুৎসিত পোস্টে আক্রমণ করা হয়েছে। জনৈক ফেসবুক ব্যবহারকারী চক্রবর্তী অর্ক নামের প্রোফাইল, যা কিনা carlito.harnandez ইউজার নাম দিয়ে রেজিস্টার করানো, সেখান থেকে একটি কুৎসিত পোস্ট করা হয়েছে। প্রোফাইলে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কোচবিহারের বাসিন্দা এই ব্যক্তি নিজের পোস্টের মাধ্যমে একইসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশ্লীল আক্রমণ, মহিলার সম্মানহানীর চেষ্টা, সংখ্যালঘু এক ধর্মের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট আক্রমণ তথা কুৎসা ছড়ানোর মতো একাধিক আইন-বিরোধী কাজ করেছেন। রাজনৈতিক বা ধর্মীয় ‘শত্রুতা’র নামে যা ছড়িয়ে বৃহত্তর বিপদের আশঙ্কা তৈরি করছেন নেটিজেনদের আরেক অংশও।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং নতুন নয়। তবে পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাবের কারণে, দিন দিন তা সীমা হারাচ্ছে বলে মনে করছে অধিকাংশ। প্রতিদিনই বাড়ছে কুৎসা রটানোর এই কুপ্রচেষ্টা। এই ধরনের ডিজিটাল নোংরামোর বিরুদ্ধে এই সময় ডিজিটাল। খবরের মাধ্যম, তাই খবর প্রকাশের মধ্যে দিয়েই এর প্রতিবাদ করা হচ্ছে।

প্রশ্ন উঠছে ফেসবুকের ভূমিকা নিয়েও। সোশ্যাল মিডিয়া সাইট তথ্য দিয়ে জানিয়েছিল, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮-র অক্টোবর পর্যন্ত ২০ কোটি ভুয়ো প্রোফাইল নির্ধারণ করে সেগুলি ডিলিট করা হয়েছে। এই ধরনের গোটা বিষয়ের উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এমনকী আঞ্চলিক ভাষাতে পোস্টও যাতে নজর না এড়িয়ে যায়, তার জন্য বিশেষ নিয়োগের খবরও অজানা নয়। এরপরও কীভাবে এই ধরনের পোস্ট ফেসবুকের আতসকাচ এড়িয়ে যাচ্ছে, তা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার এই মাধ্যম নিয়েও।

এই সময় ডিজিটাল চাইলে ওই পোস্টটি ডিলিট বা হাইড করতেই পারত। তবে তাতে এই ধরনের পোস্ট করা অ্যাকাউন্টকে ধরা যেত না। সে কারণেই খবরের মাধ্যমেই বিষয়টিতে সঠিক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টা করা হল।

সূত্র: এই সময়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর