শেরপুরে হুইপ আতিকের অব্যহতির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিউর রহমান আতিক এমপি’র বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অপছন্দের দলীয় নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর প্রতিবাদে ২৪ এপ্রিল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শেরপুর জেলা শহরের খরমপুর খাদ্য গুদাম মোড়ে জেলা কৃষক লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে শেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবীর রুমান ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ছানুয়ার হোসেন ছানুর যৌথ আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: ছানুয়ার হোসেন ছানু।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও জাতীয় সংসদের হুইপ মো: আতিউর রহমান আতিক এমপি’র বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ আনয়ন করে সংবাদ সম্মেলনে আসা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার সফল বাস্তবায়নে দলে গণতান্ত্রীক রীতিনীতির চর্চা সহ সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতির দাবী জানান তারা।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু বলেন, ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় শহরে কৃষক লীগের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচী শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হলেও বর্ণাঢ্য মিছিলকালে হুইপ আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে অশ্লীল শ্লোগানসহ নাশকতার উদ্দেশ্যে ভাংচুরের তথাকথিত অভিযোগ তুলে কৃষকলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক ২৯ নেতা-কর্মীকে স্ব-নামে ও অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনকে আসামী করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে।

ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সময়ে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২৫/৩০ জন দলীয় নেতা-কর্মীকে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় জড়ানো হয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তার বিরুদ্ধে থাকা বা অপছন্দের নেতা-কর্মীদের নগ্নভাবে বিষোদগার করে বলে যাচ্ছেন যে বলেও তিনি জানান। লিখিত বক্তব্যে তিনি তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকায় তিনি আওয়ামী লীগে বিপুল সংখ্যক বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অনুপ্রবেশ বা পুনর্বাসন করায় হাইব্রীড নেতাদের দৌরাত্ম বেড়ে গেছে, অন্যদিকে নিজের অনুগত বা পছন্দের না হওয়ায় স্থানীয় অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মী কেবল অবমূল্যায়নই নয়, নানাভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সুরুজ, ইতালীর নেপোলি আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাজারী প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর