গর্ত ভরাটের কারণে সড়কের ৮০ ফুট এলাকা পানির নিচে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপজেলায় ড্রেজার দিয়ে গর্ত ভরাটের কারণে বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর সড়ক এক ফুট পানিতে ডুবে গেছে। উপজেলার রূপসদী গ্রামের চেয়ারম্যান বাড়ি মোড়ে ওই সড়কের ৮০ ফুট এলাকা এখন পানির নিচে। গত এক মাস ধরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের পানি দিয়ে যেতে হচ্ছে। রাস্তার বিভিন্ন অংশে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার রূপসদী গ্রামে চেয়ারম্যান বাড়ি মোড়ে ঢাকা-বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর সড়কের পাশে মধ্যপাড়া গ্রামের বকুল মিয়া গত এক মাস ধরে শ্যালোচালিত ড্রেজার দিয়ে জমি বালি ফেলে ভরাট করছে। জমিতে বাঁধ না দিয়ে বালি ফেলায় পানি রাস্তা তলিয়ে গেছে।

পথচারী শাহাবুদ্দিন মিয়া জানান, গত এক মাস ধরে এই জায়গায় পানি জমে আছে। বাজারে যেতে হলে পানি দিয়ে যেতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে- ‘এটা যেন রাস্তা নয় নদী।’ দেখলে মনে হবে এটা একটা নদী। অথচ জমিতে বাঁধ দিলে এই সমস্যা হতো না। বিষয়টি দেখার জন্যও কেউ নেই বলে জানান তিনি। খোদাইবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিমুল আহম্মেদ জানায়, গত এক মাস ধরে মাদ্রাসার সামনে কাদাপানি জমে আছে। পানির ওপর দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে-আসতে হচ্ছে। এতে আমাদের অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। সিএনজিচালক সানি মিয়া জানান, রূপসদী চেয়ারম্যান বাড়ি মোড়ে রাস্তায় পানি জমে আছে অনেক দিন ধরে। পানির কারণে রাস্তায় অনেক গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে এই জায়গাটা পার হতে হচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

বকুল মিয়া জানান, দুই এক দিনের মধ্যে আমাদের জায়গা ভরাট শেষ হবে। তখন আর পানি থাকবে না রাস্তায়। আগে যে ড্রেন ছিল সেটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি যেতে না পারায় রাস্তার ওপর পানি জমে থাকছে। এ বিষয়ে রূপসদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মহসিন মিয়া বলেন, ‘ড্রেজারের পানি ও বৃষ্টির পানির কারণে চেয়ারম্যান বাড়ির মোড়ে আজ থেকে প্রায় ২৫ দিন ধরে অনেক পানি লেগে আছে। নিয়মিতই রিকশা, অটো পড়ে ক্ষতি হচ্ছে। ড্রেনের মাধ্যমে পানি নামানোর ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান হবে না।’ সড়ক ও জনপথের উপবিভাগীয় প্রকৌলশী এএকেএম আবদুল কাইয়ুম জানান, রূপসদী রাস্তায় পানি জমে থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এসও সাহেবকে পাঠাবো, পানি অপসারণের ব্যবস্থা করব। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, বিষয়টা তো আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর