পুরান ঢাকার কাপ্তান বাজারে সন্ত্রাসী হামলা

রাজধানীর পুরান ঢাকার কাপ্তান বাজারে সন্ত্রাসী হামলায় ৩ জন আহত হয়েছেন। গত ২০ এপ্রিল রাতে খন্দকার রেস্টুরেন্টে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন- খন্দকার জিশান, ইকবাল হোসেন ও সারোয়ার হোসেন। খন্দকার জিশানকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। অপর ২ জনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে খন্দকার গ্রুপের চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিনের মেয়ে জামাতা নেসার উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু থানা পুলিশ এখনো মামলা নেয়নি। এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালীচক্র অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য মামলার বাদীকে চাপ দিচ্ছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিপুর নেতৃত্বে ১২ যুবক খন্দকার টি টাওয়ারের ১২তম তলায় অবস্থিত খন্দকার স্কাইটপ রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খায়। তাদের বিল হয় ২ হাজার ৭০০ টাকা। কিন্তু বিল পরিশোধ না করে তারা চলে যেতে উদ্যত হয়। এতে ম্যানেজার লিপুর কাছে বিল চায়। জবাবে লিপু বলে ব্যাটা এলাকায় ব্যবসা করছ আবার কিসের বিল-এই বলে নিচে গিয়ে স্থানীয় বখাটে জয়নালকে ডেকে আনে। এরপর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জয়নাল কাচের বোতল ভেঙ্গে জিশানের মাথায় আঘাত করে। এ সময় খন্দকার গ্রুপের স্টাফ ইকবাল ও সারোয়ার এগিয়ে এলে জয়নাল ও ৭/৮জন সহযোগী এদেরকে মারধর করে। এরপর হোটেলের ডিপফ্রিজ, মাইক্রেওভেনসহ রেস্টুরেন্টের তৈজষপত্র ভাংচুর করে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে চলে যায়।

স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ওয়ারি থানার সাব ইন্সপেক্টর হারুন ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। রাত ১টার দিকে খন্দকার রুহুল আমিন নিজে থানায় যান। তার মেয়ে জামাতা নেসারউদ্দিন বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ডিউটি অফিসার জানান, ওসি সাহেব থানায় নেই কাল সকালে মামলা হবে। কিন্তু ঘটনায় ২ দিন গত হওয়ার পরও অজ্ঞাত কারণে থানার ওসি মামলা নেননি। এ প্রতিবেদক মামলা না নেয়ার কারণ জানতে চাইলে ওসি বলেন, মামলার বাদীর সঙ্গে কথা বলেন, মামলার বাদীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন কেন? মামলা কেন নেননি সেটা আপনি বলেন, এ প্রতিবেদকের এ কথার জবাবে ওসি ফোনে নয় সাক্ষাতে কথা হবে বলে ফোন রেখে দেন।

খন্দকার গ্রুপের চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে বর্তমানে বেলারুশে অবস্থান করছেন। এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনাটা দুঃখজনক। থানায় এজাহার দিয়ে এসেছি পুলিশ মামলা নিয়েছে কিনা বা কোনো আসামি গ্রেফতার হয়েছে কিনা কিছুই জানিনা। দেশে ফিরে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করব।
সূত্রঃ যুগান্তর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর