তখন ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল। মধ্য বৈশাখের ওই দিন কী গরমই না পড়েছিল! বৃষ্টিহীন চারদিক। আকাশে ছিল না এতটুকু মেঘ। তেড়েফুঁড়ে উঠেছিল সূর্য। সেদিন রোদের তীব্র তেজে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এখন ২০১৯ সালের এপ্রিল চলছে। আজ সোমবার ২২ এপ্রিল। বৈশাখ কেবল শুরু। কিন্তু এরই মধ্যে হাঁসফাঁস শুরু হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি উঠেছে।
গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাহলে এপ্রিলের বাকি দিনগুলোয় গরম কি আরও বেশি পড়বে?
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, সূর্য এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ঠিক ওপরে লম্বভাবে অবস্থান করছে। থাকবে এ মাসের পুরোটাই। ফলে এ মাসের শেষ পর্যন্তও বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা।
এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ আবদুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে জানায়, যশোর, পাবনা, রাঙ্গামাটি, রাজশাহী, কক্সবাজারসহ দেশের প্রতিটি জেলাতেই বিচ্ছিন্নভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। এপ্রিলজুড়ে আমরা কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছি না। তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।
এই আবহাওয়াবিদ আরো জানান, এখন পর্যন্ত এ মাসে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল শনিবার রাঙ্গামাটিতে, ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজকের দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রেকর্ড হয়েছে রাঙ্গামাটিতে, ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উল্লেখ্য, আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ৩৬-৩৮ ডিগ্রিকে মৃদু, ৩৮-৪০ ডিগ্রিকে মাঝারি ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।