২ বছরে ভারতে চাকরি হারিয়েছেন ৫০ লাখ মানুষ

ভারতে দু’বছরে চাকরি হারিয়েছেন ৫০ লাখ মানুষ। ২০১৬ সালের নভেম্বরে আকস্মিকভাবে বড় মানের মুদ্রানোট বাতিল করার সময় এ প্রবণতা শুরু হয়। এর শিকার যারা, তার বেশির ভাগই উচ্চ শিক্ষিত এবং যুব শ্রেণির। মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘দ্য স্টেট অব ওয়ার্কিং ইন্ডিয়া (এসডব্লিউআই) ২০১৯’ শীর্ষক এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। ব্যাঙ্গালোরভিত্তিক আজিম প্রেমজি ইউনিভার্সিটি এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে ওই অর্ধকোটি ভারতীয় চাকরি হারিয়েছেন। এ প্রবণতা নোট বাতিলকরণের সময়ে শুরু হলেও এর সঙ্গে মিলে গেছে চাকরি হারানোর বিষয়টি। যদিও এ দুটি বিষয়কে সম্পর্কিত করা হয় নি রিপোর্টে।

এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি। এতে বলা হয়েছে, চাকরি হারানোর এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে যদি নারীদেরকে এর মধ্যে ধরা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নোট বাতিলকরণের সঙ্গে এর সম্পর্ক থাক বা না থাক, অবশ্যই এ বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে পলিসি নিতে হবে।

২০১১ সালের পর থেকে আস্তে আস্তে ভারতে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বেকারদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষিত ও যুবক শ্রেণিই বেশি। তবে কম শিক্ষিতরাও একই পরিণতি ভোট করেছেন। ওই সময়ে তাদেরও কর্মের সুযোগ কমে এসেছে। এ সংখ্যা উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ থেকেই বোঝা যায় কেন বেকারত্ব ভারতের নির্বাচনে প্রাথমিক অর্থনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠেছে।

এ বছরের শুরুর দিকে সরকারি একটি রিপোর্ট ফাঁস হয়। তাতে দেখা যায়, দেশে ২০১৭-১৮ সময়ে দেশে বেকারত্বের হার ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছে। ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিসের পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে সম্পন্ন করে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে। এতে দেখানো হয় বেকারত্বের হার শতকরা ৬.১ ভাগ। ১৯৭২-৭৩ সময়কালের পর এটা সর্বোচ্চ। তবে এই রিপোর্টটি সরকার আটকে রাখে। কিন্তু তার নাগাল পেয়ে যায় বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকা।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর