শরবতের দোকান দিয়ে ভালো আয় করেছি: সায়মন

বৈশাখী আমেজ চারিদিকে। মোবাইল ফোনে কিছুক্ষণ পরপরই টুংটাং মেসেজের এলার্ট, তাও বৈশাখী শুভেচ্ছা। ফেসবুকের ওয়াল যতক্ষণ স্ক্রল করে নিচে নামা যায়, তাতেও বৈশাখী শুভেচ্ছা। সর্বত্রই একটা উৎসবের আমেজ।

বৈশাখ উৎসবে মেতেছেন শোবিজ জগতের তারকারাও। এই দিনটি উপলক্ষ্যে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক সায়মন বলেন, এদিন আমি পাঞ্জাবি-পায়জামা পরি। ইলিশ থাকলে বৈশাখের পরিপূর্ণতা পায়। যদিও এটাকে পরিহার করার মানসিকতা আমাদের আছে। এবারের পয়লা বৈশাখের সকাল রমনার বটমূলে কাটাবো। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেব।

বৈশাখের আচার-অনুষ্ঠান, হালখাতা, বৈশাখী মেলা, বাঙালিয়ানা পোশাক, খাবার বাঙালির বর্ষবরণ উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ। ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের বাড়িতে হালখাতা হতো। আব্বু অনেক লোকজনকে দাওয়াত দিতো। ব্যবসায়ীক পরিবারে বেড়ে ওঠায় এগুলো ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। বাড়িতে মানুষ আসলে আমার ভালো লাগতো। ধীরে ধীরে আমরা আরো জাঁকজমকপূর্ণ করে বৈশাখ উদযাপন করছি।

বৈশাখী মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় ঘুরেছি অনেক। আমাদের বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি ছিল। সেখানে সাধারণত কেউ যেত না। বৈশাখ এলে সেখানে মেলা বসতো। সেসময় মাইকিং করা হতো ‘মেলা, মেলা, মেলা।’

আশেপাশের গ্রাম থেকে লোকজন আসতো। সেখানে একবার শরবতের দোকান দিয়েছিলাম। শরবতে চিনির চেয়ে স্যাকারিন বেশি দিয়েছিলাম। ইসবগুলের ভুষি, তোকমা, আর উপরে আপেল টুকরো করে অল্প দিতাম। আসলে আপেল শুধু দেখাতাম। মেলায় শরবতের দোকান দিয়ে ভালো করেছি সেদিন। সে সময় খরচ হয়েছিল ১৩০ টাকা। আর বিক্রি করেছিলাম ৯০০ টাকা।

ছোটবেলার বৈশাখ খুব মিস করি। বাঙালি জাতিসত্তার পরিচয় বহন করে পয়লা বৈশাখ। সুতরাং দিনটি সব সময় আনন্দে পালিত হোক এটাই চাই।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর