নতুন কোনো তনু-নুসরাতের জন্য আমরা অপেক্ষা করি

পেশাগত কাজে ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়েছিলাম অগ্নিদগ্ধ নুসরাতের সর্বশেষ অবস্থা জানতে। প্রথমেই দেখা হলো তার বাবার সঙ্গে খুব বিনয়ী আর আলেম মানুষ।

পরে জানলাম তিনিও এক মাদ্রাসার শিক্ষক। সালাম দিতেই বললেন, আপনারা সাংবাদিকরা অনেক করছেন। এখন কিছু চাই না শুধু আমার মেয়ের জন্য দোয়া করেন…।

এরপর নুসরাতের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কথা হলো, নাম রায়হান। তার কাছে জানলাম তিন ভাইয়ের একটি বোন নুসরাত। মেজো ভাই কুয়েতে থাকে। সেও অত্যন্ত বিনয়ী। অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ কয়েকবার সালাম আর হাত ধরল। এরপর কি একটা ওষুধ আনতে চলে গেল…

সবার শেষে পেলাম নুসরাতের বড় ভাই নোমানকে। তিনিও মাদ্রাসার স্টুডেন্ট, বলার অপেক্ষা রাখে না যথেষ্ট বিনয়ী ভদ্র। তার কাছেই শুনলাম, নুসরাতকে কুপ্রস্তাব দেয়ার ঘটনা। মামলা-আগুন ধরিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন বিষয়। বোনের জন্য দোয়া চেয়ে, বোনের আর্তনাদের কথা বলতে গিয়ে তাকেও কাঁদতে দেখলাম…।

বারবার বললেন, বোনের জন্য দোয়া করবেন, আমাদের খুব আদরের বোন, ছোটবেলা থেকেই কোলেপিঠে, চোখে চোখে মানুষ করছি…।

ভাইয়ের, বাবার এমন বুকফাটা আর্তনাদে সান্ত্বনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। পৃথিবীর সব ভাষা যেন বোবা হয়ে ফিরে যায়…।কোটি মানুষের শুভকামনা আর ডাক্তারদের আপ্রাণ চেষ্টাতেও বাঁচানো গেল না তাকে…।তাদের সঙ্গে কথা বলার মাত্র কয়েক ঘণ্টা মধ্যেই…। নাহ ঘুমাতে পারছি না…এভাবেই তনু-নুসরাতরা একবুক ঘৃণা যন্ত্রণা নিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেয়…। তারপর আমরা নতুন কোন তনু-নুসরাতের জন্য অপেক্ষা করি…

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর