না ফেরার দেশে লিভারপুল খেলোয়ার

ডাকনাম ছিল ‘অ্যানফিল্ড আইরন’, লিভারপুলের প্রথম এফএ কাপ ও ইউরোপিয়ান কাপ জয়ী ডিফেন্ডার। ৭৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ক্লাবটির লিজেন্ড টমি স্মিথ।

পাঁচ বছর ধরে অ্যালঝেইমারের সঙ্গে লড়াই করে শুক্রবার মারা গেছেন স্মিথ। এই খবর নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।লিভারপুলের সঙ্গে ১৮ বছরের সম্পর্ক স্মিথের। তার মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত বিবৃতি জানিয়েছে অল রেডরা, ‘আমাদের সাবেক অধিনায়ক ৭৪ বছর বয়সী টমি স্মিথের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকসন্তপ্ত। লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের প্রত্যেকে টমির পরিবার ও তার অগণিত বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে। শান্তিতে ঘুমান অ্যানফিল্ড আইরন।’

১৯৬২ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত লিভারপুলে খেলেছেন স্মিথ। তার আগের দুই বছর ছিলেন যুব দলে। এই ক্লাবে চারটি প্রথম বিভাগীয় শিরোপা, দুটি এফএ কাপ, একটি ইউরোপিয়ান কাপ ও দুটি উয়েফা কাপ জিতেছেন।

অ্যানফিল্ডের আরেক লিজেন্ড বিল শ্যাঙ্কলির অধীনে স্মিথ লিভারপুলের জার্সিতে খেলেছেন ৬৩৮ ম্যাচ। গোল করেছেন ৪৮টি। ১৯৬৫ সালে ক্লাবটির প্রথম এফএ কাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন স্মিথ। তার ক্যারিয়ারের সেরা গোলটি ছিল ১৯৭৭ সালের ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে। বরুশিয়া মনচেনগ্লাদবাখের বিপক্ষে জয়সূচক গোল করেন তিনি।

অ্যানফিল্ডে থাকতেই এক মৌসুম নর্থ আমেরিকান সকার লিগে (এনএএসএল) টাম্পা বে রাউডিসের সঙ্গে ধারে খেলেন স্মিথ। লিভারপুল ক্যারিয়ার শেষে তিনি আবার ফেরেন যুক্তরাষ্ট্রে এবং লস অ্যাঞ্জেলস অ্যাজটেকসের হয়ে খেলেন এনএএসএল। তার খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষ হয় সোয়ানসি সিটিতে, ক্লাবটিকে তৃতীয় বিভাগ থেকে উন্নীত করতে অবদান রাখেন এই ইংলিশ ডিফেন্ডার।

লিভারপুলে দারুণ ছাপ রাখলেও ইংল্যান্ড জাতীয় দলে কেবল একটি ম্যাচ খেলেন স্মিথ। ফুটবলকে বিদায়ের পর সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য অ্যাজটেকসের কোচ হন। তবে বেশির ভাগ সময় কাটান লিভারপুল ইকোর কলামিস্ট হিসেবে। গোল ডটকম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর