বোরকা পরা চারজনের তিনজন ছিলেন পুরুষ

ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার সময় উপস্থিত বোরকা পরা চারজনের তিনজনই ছিল পুরুষ। অন্য একজন নারী সদস্য। তারা সবাই ওই মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সংস্থাটির ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

তিনি জানান, রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার প্রস্তাবটি ছিলো শাহাদাত হোসেন শামীমের (২০)। এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া বোরকাপরা তিন পুরুষের একজন সে। তাকে আটক করেছে পিবিআই।

ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের আরও জানান, রাফির শরীরে আগুন দেওয়ার একদিন আগে (৫ এপ্রিল) সোনাগাজীর একটি হোটেলে অবস্থান করে নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, হাফেজ আবদুল কাদের ও জাবেদ হোসেনসহ পাঁচজন। সেখানে বসেই রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। কীভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে, সেই বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে তারা আরও পাঁচজনকে তাদের পরিকল্পনার কথা জানায়। যাদের মধ্যে দুজন মেয়েও ছিল। তাদের একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তিনটি বোরকা ও কেরোসিন সংগ্রহের জন্য। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শাহাদাত হোসেন শামীমের কাছে তিনটি বোরকা ও কেরোসিন সরবরাহ করে মেয়েটি।

পরিকল্পনার পরদিন (৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার আগেই বোরকা পরে শামীমসহ তিন পুরুষ শিক্ষার্থী মাদ্রাসার টয়লেটে লুকিয়ে থাকে। এরপর পরীক্ষা শুরুর কিছু সময় আগে শম্পা বা চম্পা নামের মেয়েটি রাফিকে বলে, ছাদে তার বান্ধবী নিশাতকে মারধর করা হচ্ছে। এই খবর শুনেই রাফি দৌড়ে ছাদে যায়। সেখানে যাওয়ার পরই শামীমসহ বোরকাপরা চার শিক্ষার্থী রাফির হাত বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর