শেরপুরে শিক্ষার্থীকে ঘাড় মচকিয়ে দেয়ার অভিযোগ

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের তিরছা গ্রামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বিরুদ্ধে আরেক পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারধোর ও ঘাড় মচকিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী বিলকিছ বেগম (১১) বর্তমানে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের তিরছা ৩৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ওই গ্রামের বিষু মিয়ার মেয়ে। ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে তিরছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চে বসা নিয়ে সহপাঠীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির জের ধরে বিলকিছকে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার তিরছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ক্লাশ চলাকালে বেঞ্চে বসা নিয়ে বিলকিছ বেগম ও তার সহপাঠী সানিতার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সানিতা সহপাঠী বিলকিছকে মাথায় আঘাত করে।

বিলকিছ বিষয়টি শ্রেণি শিক্ষক সাদিয়া বেগমকে জানালে তিনি সানিতাকে বকাঝকা ও বেত্রাঘাত করেন। এরই জের ধরে কিছুক্ষণ পর সানিতার মা শাহানা বেগম ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে ঢুকে বিলকিছকে ঘাড়ে ধরে ঘাড় মচকিয়ে দেন এবং বেঞ্চের ওপর তার মাথা ঠেকিয়ে তাকে আঘাত করেন। এতে বিলকিছ গুরুতর আহত হয়।

ঘটনার পর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপসের চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। এদিকে এ ঘটনায় আহত বিলকিছের অবস্থার অবনতি হলে তার অভিভাবক ১০ এপ্রিল বুধবার দুপুরে তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। তিরছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদা পারভীন ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. আব্দুর রউফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবেদককে বলেন, এ ঘটনায় বিলকিছের বাবা বিষু মিয়া বাদী হয়ে সানিতার বাবা ফারুক ও মা শাহানা বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে সানিতার বাবা-মা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর