প্রথম প্রেমের প্রস্তাব নিয়ে মুখ খুললেন পপি!

শৈশব পেরিয়ে কৈশোর বয়সে প্রেম করেন নি এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে খুঁজলে। কৈশোর বয়সে সবার মনেই প্রেম উঁকি দেয়। সেই বয়সে মনের কোনে উঁকি দেওয়া প্রথম প্রেমের গল্প কাহিনি সবার মনেই রেশ রেখে যায়। মনে জাগায় এক অন্যরকম অনুভুতির। আর সে প্রেমের গল্প যদি হয় শোবিজ জগতের কারো তাহলে তো কোথায় নেই। তারকাদের লাইফস্টাইল থেকে শুরু করে সবকিছুতেই ভক্তদের আগ্রহ থাকে চরমে। এবার চিত্রনায়িকা পপির প্রথম প্রেমের গল্প কাহিনি তুলে ধরা হল এই অংশে।

জমিদার বংশের মেয়ে পপি। ছোটবেলা থেকেই খুব কড়া শাসনের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন তিনি। তাদের বংশের লোকজনদের সবাই খুব ভালো করে চেনেন এবং ভয়ও পান। তাই প্রেমের প্রস্তাব দিতে অনেকেই ভয় পেতেন। তারপরও ছোটবেলায় প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছেন পপি। সে ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি তখন ক্লাস ফোর কিংবা ফাইভে পড়ি। ওই বয়সে ‘প্রেম’ শব্দটাই আমার কাছে অপরিচিত। তাছাড়া ছোটবেলা থেকেই আমি খুব শান্ত। এসবের আগে-পিছেও আমি নেই।

একদিন স্কুলে যাওয়ার পথে একটা ছেলে হুট করে আমার পথ আটকে দেয়। হাতে একটি চিঠি নিয়ে, সে ছেলেটি আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এমন পরিস্থিতিতে আমি কখনও পরিনি। তাই অনেকটা মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে ছিলাম। এরপর ছেলেটি আমার হাতে সে চিঠিটা পুরে দিয়ে, উত্তরের অপেক্ষায় থাকে। ফেরার পথে আমি যেন এর উত্তর দেই, বলে ছেলেটি সেখান থেকে চলে যায়। আমি বেশ কিছুক্ষণ সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। এরপর কান্না শুরু করলাম। কাদঁতে কাদঁতে ক্লাসে ডুকলাম। আমাকে দেখে বান্ধবীরাও অবাক। সবাই জানতে চায়, কি হয়েছে? কান্নার কারণে আমি কিছু বলতে পারছিলাম না। আমার কান্নার কথা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কানেও পৌঁছে যায়।

এটা জানতে পেরে শিক্ষকরাও ছুটে আসেন। জানতে চায় কি হয়েছে? পুরো ঘটনাটা তাদের বললাম। তারা বিষয়টি আমার পরিবারকে জানালেন। বাবা-মা স্কুলে ছুটে আসলেন। সব ঘটনা শুনে তারা বললেন, স্কুল ছুটির পর আমি যেন একা একা বাসায় ফিরি। পরিকল্পনা করে ছেলেটিকে হাতেনাতে ধরার জন্য। ছেলেটি আমাকে একা দেখে উত্তরের আশায় সামনে আসলে তাকে আটক করবে।। তাদের কথা মতো, স্কুল ছুটির পর একা একা বাসার উদ্দেশে হাঁটা শুরু করলাম। অনেকে পেছনে ছিলেন বাবা, মা ও স্কুলের শিক্ষকরা। আমাকে একা দেখে, বাইক চেপে ছেলেটি সামনে এসে হাজির। ঠিক তখন বাবা, মা ও শিক্ষকরা সবাই ছেলেটিকে ঘিরে ধরলেন।

স্থানীয় লোকজনরাও তখন বেশ ক্ষেপে ছিল। বাবা দেখলেন, এখন যদি তিনি ছেলেটিকে মারধর শুরু করেন তবে সে শেষ। তাই ছেলেটিকে তখন কিছু না করে এর বিচার চাইলেন বাবা। বিচারে ছেলেটির চুল কেটে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর যারা মনে মনে আমাকে প্রেম নিবেদনের কথা ভাবছিলেন, তারাও ভয়ে কেটে পড়ে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর