‘পরিকল্পিতভাবেই নুসরাতকে হত্যা করা হয়েছে’

নুসরাত জাহান রাফির হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত মন্তব্য করে মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক বলেছেন, পুলিশ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সর্তক হলে এ হত্যাকাণ্ড এড়ানো যেত।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে রাফির ওপর আগুন হামলার স্থানটি পরিদর্শন করে ২০ সদস্যের একটি দল।

এদিকে আজও নুসরাতের হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

শুক্রবার সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা পরিদর্শনে যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন ২০ সদস্যের একটি দল। তাদের সঙ্গে পিবিআইএ’র কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২ জন বিচারক উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কমিশনের সদস্যরা। পুলিশ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সর্তক ভূমিকা পালন করলে নুসরাতকে মরতে হতো না বলে মন্ত্রব্য করেন তারা।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক আল মাহামুদ ফায়জুল কবীর বলেন, সাক্ষীদের বক্তব্য থেকে এটা পরিস্কার যে অধ্যক্ষ সিরাজুদ্দৌলা নুসরাতকে ডেকে নিয়েছিলেন। তার কক্ষে অশোভন আচরণ করেন। একজন মেয়ের পক্ষে সম্ভ্রম রক্ষা করে কতটা বলা সম্ভব এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালো বোঝেন। যদি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সচেতন হতেন তাহলে এ ঘটনা ঘটতো না।

এদিকে শোকতপ্ত সোনাগাজীতে আজও হয়েছে মানববন্ধন। এতে অংশ নেন ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

তারা বলছেন, ১০ তারিখকে নুসরাত দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়া হোক। আবার অনেকের দাবি ওই মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন করে নুসরাতের নামে করা হোক।
গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষার্থী নুসরাতকে আরেকটি ভবনে ডেকে নিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় চারজন মুখোশধারী। দশদিন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকার পর ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায় নুসরাত।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর