পাবনায় অনৈতিক কাজের সালিশ করায় গ্রাম প্রধানসহ আটক- ৩

পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আছাদ আলী (২৭) ও উর্মি খাতুন (২৩) নামে এক প্রেমিক যুগলকে আটক করেছে পুলিশ।

আছাদ উপজেলার ঝি-কলকতি গ্রামের মৃত মমিনের ছেলে ও দুই সুন্তানের জনক। উর্মি নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা। বুধবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। এদিকে ঘটনাটি আড়াল ও আসামীদের পুলিশ হেফাজতে না দিয়ে গ্রামে সালিশ বসানো এবং পুলিশকে লাঞ্চিত করায় গ্রামের প্রধান আফছার আলী (৫০) কে আটক করা হয়।

আটক তিনজনকেই বৃহস্পতিবার পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে আছাদ আলীর স্ত্রী তোফিরন খাতুন দুই কন্যাসহ পার্শ্ববর্তী চাটমোহর উপজেলার শিতলাই গ্রামে তার বাপের বাড়িতে বেড়াতে যান। এই সুযোগে ওইদিন বিকেলে লম্পট আছাদ তার বাড়িতে ওই যুবতিকে নিয়ে আসে এবং একই ঘরে তারা রাত যাপন করে। বুধবার সকালে গ্রামবাসী তাদের দুজনকে আটক করে গ্রামের প্রধান আফছার আলীর বাড়ির একটি ঘরে আটক রাখে। সন্ধ্যায় সালিশে মিমাংসা করার জন্য গ্রাম্য প্রধান তাদেরকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। এসময় স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাত নয়টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে গ্রামের কয়েক যুবকের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে ওই কনস্টেবল সামান্য আহত হন ও তার ইউনিফরম ছিঁড়ে যায়। এ কারণে গ্রামের প্রধান আফছার আলীকেও আটক করা হয়।

কথিত যুবকদের আটক করতে ঐ রাতে পুলিশ অন্ততঃ দু’বার গ্রামে তল্লাশি চালায়। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রাম্য প্রধান আফছার আলী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, আমি ওই প্রেমিক যুগলকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদ রানা বলেন,গ্রামের প্রধান আফছার আলীর নির্দেশে কিছু যুবক পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তাই তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর