মূল্যমান নির্ধারণ করা থাকলেও কসাই বাবুর কোন ভ্রুক্ষেপই নেই

প্রত্যেক জেলার পৌরবাজার গুলোতে পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন কাঁচা বাজারের মূল্যসহ গরুর মাংসের একটি তালিকা দেওয়া হয়। অর্থ্যাৎ যে দাম পৌরসভা নির্ধারণ করে দিবে সেটিই মানতে হবে বিক্রেতাদের। যদি সেটি না মানে তাহলে বিক্রেতারা জেল-জরিমানার সম্মুখিন হবে। চট্টগ্রাম বারইয়ারহাট পৌরসভা থেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছেন না পৌর বাজারের মাংস ব্যবসায়ীরা। নির্ধারিত দাম উপেক্ষা করে প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি করছেন তারা।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বারইয়ারহাট পৌর বাজারের মাংসের দোকানে সরেজমিন গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বারইয়ারহাট পৌরসভা থেকে মাংসের দোকানের উপর টাঙানো তালিকা থেকে প্রাপ্ত তথ্য হাঁড়সহ মাংস প্রতিকেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা এবং হাঁড়ছাড়া মাংস প্রতিকেজি ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত মূল্য তালিকা মানছেন না পৌর বাজারের মাংস ব্যবসায়ীরা। বাড়তি দামে বিক্রি করছে গরুর মাংস। বারইয়ারহাট পৌর বাজারের বাসিন্দা মো. কামরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আজ সকাল সাড়ে ১০টায় গরুর মাংসের জন্য বাজারে এসে দেখি গরুর মাংসের দাম বাড়তি। আমার কাছে প্রতিকেজি মাংস ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছে। তাদের কাছে দাম বাড়তি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং তাদেরকে যখন বলি পৌরসভা থেকে সাইনবোর্ডে নির্ধারিত দাম দেওয়া আছে। তারা পাল্টা জবাব দিয়ে বলে গরু ক্রয় করার সময় উনারা থাকেন নাকি। সাইনবোর্ডের কথা বলে কোনো লাভ নাই। বারইয়ারহাট বাজারের স্থানীয় বাসিন্দা মিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রতি বছরই রমজান এলেই পৌর বাজারের ব্যবসায়ীরা গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি করে। এখনও রোজা শুরু হয়নি, রোজার মধ্যে দাম আরও বাড়তি নেয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এ ব্যপারে ব্যবস্থা নেওয়ার।

পৌর বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মো. শাহাদাতের কাছে দামের তালিকা না মানার কারণ জানতে চাইলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, টাঙানো দামের তালিকাটি এক বছর আগের। তখন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী আমরা মাংস বিক্রি করতাম কিন্তু মাংসের দাম উঠানামা করে কেননা গরুর দাম অনেক বেশি। বর্ডার পার হয়ে গরু এখন আগের তুলনায় কম আসছে। যার কারণে মাংসের দাম একটু বাড়তি। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বারইয়ারহাট পৌর মেয়র ভিপি নিজাম উদ্দিন বলেন, আমি এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবসায়ীদের পৌরসভায় ডেকেছি। এরপরও যদি এ অবস্থার পরিবর্তন না হয় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। মিরসরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, আমি এই বিষয়ে অবগত ছিলাম না। বারইয়ারহাট পৌর মেয়রের সাথে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আলোচনা করছি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর