বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলা আর গ্রেফতার করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নিস্তেজ করা যাবে না, বরং অগণতান্ত্রিক শক্তিকে প্রতিরোধ করতে তারা আরও উদ্দীপ্ত হবে। রাজপথে জনগণের বিপুল স্রোত থামানো যাবে না।

আগামী নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। গত দুই দিনে ঢাকা ও যশোরে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ২১ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে জানানো হয়, যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক, সদস্য মিজানুর রহমান খানসহ যুবদল, ছাত্রদলের ২১ নেতা-কর্মীকে একটি ‘মিথ্যা’ মামলায় জামিন না দিয়ে সরকারি মদদে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া ঢাকায় মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ খালিদ হাসান ও কলাবাগান থানা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব হোসেনকে সব মামলায় জামিনে থাকার পরও পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

এসব ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশ চলছে এক দুর্বিনীত দুঃশাসনের প্রতাপে। বিরোধী দল ও মত এখন নিষ্ঠুর নিষ্পেষণে পিষ্ট। গ্রাম থেকে শহরে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীরই স্বাভাবিক জীবনযাপনের নিরাপত্তা নেই। সর্বত্রই মনে হয় আওয়ামী পুলিশ বাহিনী বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধরার জন্য ওত পেতে আছে। এই আওয়ামী সরকারের আমলে জনসমাজে নারী, পুরুষ নির্বিশেষে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার নিরাপত্তা চরমভাবে বিপন্ন।

বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এক বেপরোয়া স্বৈরাচারের কবলে পরে দেশের মানুষ শুধু জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত নয়, ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার অধিকারও ক্রমান্বয়ে হারাচ্ছে। ক্ষুধা ও অনাহার এখন জনগোষ্ঠীর বিপুলসংখ্যক মানুষের নিত্যসঙ্গী। বর্তমানে কাঁচা মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের বিস্ময়কর বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয়ে দেশব্যাপী সন্ত্রাসী আর বখাটেদের আধিপত্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে।

সড়কে অপঘাতে মৃত্যুর হার প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শাসকগোষ্ঠীর এসব অনাচারের প্রতিবাদ যাতে না হয়, সে জন্যই বিভিন্ন অঞ্চলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে।