বাংলাদেশে নির্বাচন ও ক্ষমতার পালাবদল প্রশ্নে বরাবরের মতো আওয়ামী লীগের প্রতি ইতিবাচক অবস্থানে ভারত। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ ভূ-রাজনীতিতে চলছে নানা সমীকরণ। তেমনি বেড়েছে দেশি-বিদেশিদের তৎপরতা। এমন প্রেক্ষাপটে ভারতের ভূমিকাও আলোচনায় উঠে আসে বেশ জোড়েসোড়েই।

সম্পর্ক ফের ঝালাইয়ে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ভারত সফরে যাবে আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। বলা চলে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কিছু দেশের নানামুখী চাপ সত্ত্বেও পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী ও পরীক্ষিত বন্ধু ভারতের এমন ইতিবাচক বার্তায় স্বস্তি ফিরেছে ক্ষমতাসীন দলের। নির্বাচনের আগে দল ও সরকারের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ মজবুত ও সম্পর্কের গুরুত্ব বাড়াতেই এ সফর ধারণা করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দেবেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। আরও থাকবেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য তারানা হালিম ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত। সফরে প্রতিনিধিদলটির ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা, বিজেপির সাধারণ সম্পাদকসহ আরও অনেকের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।

আগামী সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিষয় ছাড়াও আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে।

তাই আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের সফরটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এর আগে, গত ২১ মে আওয়ামী লীগের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল চায়না কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে চীন সফর করেন।