পটুয়াখালীর দশমিনায় মেয়েকে বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দেয়া নিখোঁজ পিতা মোঃ ইমরান (৩৫) এর মরদেহ ১৫ ঘন্টা পর উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ২৫ রবিবার সকাল ৯টায় আলীপুর ইউনিয়নের খলিসাখালী গ্রামের সুতাবাড়িয়া নদী থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ইমরান বরিশালের দক্ষিণ বগুড়া রোড এলাকার আহসান উল্লাহর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল শনিবার স্ত্রী-সন্তানসহ দশমিনার আলীপুর ইউনিয়নের খলিসাখলী গ্রামে নানাবাড়িতে বেড়াতে আসেন ইমরান।পরে শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি তাঁর স্ত্রী ও চার বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে বের হন। এ সময় অসাবধানতাবশত তাঁদের মেয়ে নদীতে পড়ে গেলে তাকে উদ্ধারের জন্য স্বামী-স্ত্রী দুজনই নদীতে ঝাঁপ দেন। স্থানীয়রা এ দৃশ্য দেখে ছুটে গিয়ে মা-মেয়েকে উদ্ধার করতে পারলেও নিখোঁজ হন বাবা ইমরান। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে জানালে সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালায়। কিন্তু ইমরানকে খুঁজে না পেয়ে উদ্ধার কাজ সাময়িক বন্ধ রাখে। পরে রোববার সকাল ৯টার দিকে স্থানীয়রা একটি মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে দশমিনা ফায়ার সার্ভিসে কল দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে দশমিনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার তাহেরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করি। পরে পটুয়াখালী থেকে ডুবুরি দল এসে রাত ৯টায় পুনরায় উদ্ধার অভিযান চালায়। রাত ১১টা পর্যন্ত অভিযানের পর সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। আজ (রোববার) সকালে ৮ টায় এলাকার নদীতে ভাসমান একটি মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন আমাদের খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইমরানের মরদেহ উদ্ধার করি।

দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, গতকাল শনিবার বিকালে মেয়েকে বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দেয় ইমরান ও তার স্ত্রী। পরে স্থানীয়রা মা ও মেয়েকে উদ্ধার করতে পারলেও ইমরান নিখোঁজ থাকেন।আজ সকালে ইমরানের ভাসমান লাশ স্থানীয়রা দেখতে পেলে থানায় খবর দেয়। পরে লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বার্তাবাজার/রাহা