নোয়াখালী হাতিয়ায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দশ কেজি করে চাল পেয়েছে দুঃস্থ ও অতিদরিদ্র লক্ষাধিক পরিবার। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিয়নে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বরাদ্ধকৃত ভিজিএফ এর এসব চাল বিতরণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানায়, হাতিয়াতে ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৯৬ হাজার ১৬৭ টি পরিবার ১০ কেজি করে চাল পেয়েছে। সরকারীভাবে বরাদ্ধকৃত ৯ শত ৬১ টন চাল জনসংখ্যা অনুপাতে এসব ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধ্যে বিভাজন করে দেওয়া হয়। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্দিষ্ট সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এই চাল বিতরণের ব্যবস্থা করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চরঈশ্বর ইউনিয়নের তিনটি স্থানে চাল বিতরণ চলছে। ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম মহব্বত জানান, ইউনিয়নের তিনটি স্থানে বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। মানুষজন যাতে নিজ নিজ বাড়ীর নিকটবর্তী স্থান থেকে এই চাল সংগ্রহ করতে পারে সে জন্য এই ব্যবস্থা। বিতরণের আগে প্রতিটি পরিবারকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরবারহ করা চালের টৌকন দেওয়া হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে। এতে নিদির্ষ্ট টৌকন নিয়ে আসার সাথে সাথে দেওয়া হচ্ছে চাল। এতে মানুষের জটলা তৈরি হচ্ছে না।

উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, উপজেলা পরিষদ থেকে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদকে বিতরণের সময় নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে সরকারী কর্মকর্তারা গিয়ে তদারকি করেন। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের মধ্যে সবকটি ইউনিয়নে বিতরণ শেষ হবে। প্রতিবছর সরকার দুই ঈদে দুঃস্থ ও অতিদরিদ্র পরিবারের জন্য এই চাল বরাদ্ধ দিয়ে থাকে। উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয়সভায় বরাদ্ধকৃত এসব চাল প্রতিটি ইউনিয়নের জনসংখ্যা অনুপাতে বিভাজন করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, বিভাজন অনুপাতে সূখচর ইউনিয়নে ৫ হাজার ১৮, নলচিরা ৫ হাজার ৪৯৩, চরঈশ্বর ৬হাজার ২৯০, চরকিং ৮ হাজার ৫০২, তমরদ্দি ৬ হাজার ৪৯৬, সোনাদিয়া ৮ হাজার ১৮৭, বুড়িরচর ১১ হাজার ৫৮০, জাহাজমারা ১৪ হাজার ৮৯, নিঝুমদ্বীপ ৭ হাজার ২৩০, হরনী ৯ হাজার ৬৪১, চানন্দী ১২ হাজার ১৪১ ও হাতিয়া পৌরসভায় ১ হাজার ৫শত পরিবার ১০ কেজি করে চাল পেয়েছেন।

বার্তাবাজার/এম আই