নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রী পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

জানা গেছে, প্রথম তিন সেমিস্টারে বিভাগে প্রথম হয়ে আসছিলেন তিনি। সর্বশেষ ২১ জুন সেই শিক্ষার্থীর রেজাল্ট প্রকাশিত হয়। কিন্তু পরবর্তী সেমিস্টারগুলোতে আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় হতাশ হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। তিনি পূর্বের বেশ কয়েকটি সেমিস্টারে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।

বুধবার (২১ জুন) ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশের পর ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় অতিরিক্ত মেডিসিন খেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সেই শিক্ষার্থী।

বিভাগীয় শিক্ষকের মার্ক টেম্পারিং হতে পারে বলে ধারণা করেন ওই শিক্ষার্থী। উক্ত শিক্ষার্থী নোয়াখালী সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অবস্থান করছেন।

বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ছাত্রী বলেন, ভয়ে রেজাল্ট নিয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারি না। সবাই জানে ডিপার্টমেন্টে কি হচ্ছে কিন্তু সবাই চুপ তাই নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি।

লিখিত অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষার্থী বলেন, আপাতত এ বিষয়ে আমি কোনো অভিযোগ করতে চাচ্ছি না, পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে আমি বিষয়টি সম্পর্কে জানাবো।

এ বিষয়ে শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের প্রধান জি এমন রাকিবুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের অবস্থার কথা শুনে সর্বপ্রথম আমরা নিজস্ব খরচে তার চিকিৎসার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছি। আজকে সকালে সুস্থ হয়ে হলে ফিরেছে। এটা ও শুনেছি যে সে তার পরিবারেও এই বিষয়ে জানায়নি। আমরা তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতেছি।

মার্ক টেম্পারিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মার্ক টেম্পারিং মানে হচ্ছে সে যেই মার্কস পায় ঘষা মাঝা করে তাকে নাম্বার কমায় দেয়া। কিন্তু সে যদি মনে করে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তাহলে আমি বলব তাকে লিখিত অভিযোগ জানাতে। তাদের জন্য আমি আমার অফিসের বাহিরে পরামর্শ বক্সের ব্যবস্থা করেছি যা আমি প্রত্যেক সপ্তাহে খুলে দেখি।

তিনি আরও বলেন, সে যদি চায় তার খাতা পুনরায় নিরীক্ষা করতে তার ও ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু সে তো আমাদের কে এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি। আমি বলবো সে মার্কশিট তুলে দেখুক তার কোন কোন বিষয়ে ভালো রেজাল্ট আসে নি। একটা মানুষ আত্নহত্যার চেষ্টা করে তখনই যখন সে হতাশার সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায় এবং সব পথ বন্ধ হয়ে যায়। সে যাদি খাতা পুন নিরীক্ষা করাতে চায় এবং মার্ক টেম্পারিংয়ের জন্য লিখিত অভিযোগ জানায় তাহলে আমি তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। এ ছাড়াও এ বিষয়টি নিয়ে একটা মিটিং রেখেছি সেখানে আমি তার এসব বিষয় নিয়ে কথা বলবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোঃ ইকবাল হোসেন সুমন বলেন, “আমি শুনেছিলাম এ বিষয়ে। সে আগে সুস্থ হয়ে আসুক। তার পরে সে অভিযোগ দিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বার্তাবাজার/এম আই