যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের প্রবর্তক মোড়ে ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের উদ্যোগে আয়োজিত রথযাত্রায় ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় রথযাত্রায় সহায়তা করছে। আমাদের এই দেশ হিন্দু, মুসলিম ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ সকলের দেশ। এদেশে সকল ধর্মের মানুষ ও সকল সম্প্রদায়ের সমান অধিকার।

তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, একটি পক্ষ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নির্যাতন চালাতে চায়। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায়। মাঝে মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াতে চায়। আমাদের সবাইকে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। রথযাত্রা শান্তিপূর্ণভাবে সফল হোক এই আমার কামনা। রথযাত্রার এই আনন্দ উল্লাস যেন সারা বছরজুড়ে থাকে। যেভাবে আমাদের পূর্বসূরিরা হাতে হাত রেখে এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, সেভাবে আজকেও আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের কাছে পৌঁছাবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সত্যিকারের উন্নত, অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ দেশ গড়তে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবো।

রথযাত্রা উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী। উদ্বোধক ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আর্শীবাদক ছিলেন ইসকন বাংলাদেশের সদস্য ও পুন্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এম এ মাসুদ।

এর আগে ভোরে মঙ্গলারতির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানমালার শুভ সূচনা হয়। বিকেল ৪টায় রথযাত্রার বর্ণাঢ্য মহাশোভাযাত্রা প্রবর্তক মোড় থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিনেমা প্যালেস প্রাঙ্গণে সমাপ্ত হয়।

শোভাযাত্রায় চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের অংশগ্রহণের পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন নামহট্ট, ভক্তিবৃক্ষ, ইয়ুথ ফোরাম, গীতা প্রচার বিভাগসহ ১৭০ টির অধিক বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক, বিভিন্ন পৌরাণিক সাজসহ অংশগ্রহণ করেন।

বার্তাবাজার/এম আই