নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (নোবিপ্রবিসাস) ‘ফল উৎসব’ আয়োজন করেছে। ২০ শে জুন ( মঙ্গলবার) বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী ইদ্রিস আলী অডিটোরিয়ামের ৩য় তলায় নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক মনোরম এবং উৎসবমুখর পরিবেশে এই ‘মৌসুমি ফল উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কবীর ফারহান বলেন, প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি সবসময় বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পরিবার পরিজন ও কাছের মানুষদের নিয়ে ফল খাওয়া একটি আনন্দের বিষয়। কিন্তু পরিবার থেকে দূরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করার জন্য এই আনন্দ থেকে আমরা বঞ্চিত হই। নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে এই ফল উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা এই পারিবারিক আবহটা দিতে চাচ্ছি। মৌসুমি ফল আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, আনারস, , লটকন, ড্রাগনফল, আঙুর সহ উৎসবে প্রায় ১২ ধরনের ফলের সমাহার ছিল। উৎসব চলাকালীন সময়ে পরিচিত সব দেশি ফলের মনমাতানো সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে সমিতির কার্যালয় প্রাঙ্গণে।বিশেষ অতিথির আলোচনায় সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, এই সংগঠন ক্যাম্পাসে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। সকল কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে নীতি নৈতিকতার জায়গায় ঠিক থেকে সাংবাদিক সমিতি পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সর্বশেষ তিনি সংগঠনটির উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন।

উৎসবের প্রধান অতিথির আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী সংগঠনটির কার্যক্রমের ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো কাজ সমূহ সাংবাদিক সমিতির মাধ্যমে সুন্দর ভাবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাচ্ছে। একইভাবে কোন ক্ষেত্রে ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে তাদের মাধ্যমে অনেক কিছু বেরিয়ে আসে। তাদের কার্যক্রমের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় উপকৃত হচ্ছে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাংবাদিক সমিতি অনেকভালো ভালো কাজ করে। তাদের এসব কাজ প্রশংসার দাবী রাখে। এই সংগঠনের সফলতা কামনা করেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী ।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সালাম হলের প্রভোস্ট ড. আনিসুজ্জামান রিমন, নোবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

বার্তাবাজার/রাহা