বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে ব্রাহ্মাণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এর সামনে,এতে দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। রবিবার (১৮ জুন) বিকেলে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন-চার দিনের ভারী বৃষ্টিতে ইমিগ্রেশন ভবনের সামনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে করে ভারত-বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে অনেক যাত্রীদের কাপড় হাঁটুর উপরে তুলে ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশ করতে। এতে করে বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে বিপাকে পরতে হচ্ছে যাত্রীদের।

ভারতের সাতটি অঙ্গ রাজ্যের সাথে সহজ যোগাযোগ এর অন্যতম জনপ্রিয় রোড হল আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট।

ঢাকা-চট্রগ্রাম-সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন জেলার সাথে আখাউড়া স্থলবন্দরের যোগাযোগ ভাল হওয়ায় দিন দিন ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই স্থল বন্দরটি। জরাজীর্ণ ভবন নিয়ে কোনমত কর্যক্রম চললেও দেখা যাচ্ছে অল্প বৃষ্টি হলেও ইমিগ্রেশন ভবনটি সামনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। যাত্রী ও কর্মকর্তারা পানিতে ভিজেই যেতে হচ্ছে ইমিগ্রেশন ভবনে। তাতে দূর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের।

ভারতগামী পাসপোর্টধারী এক যাত্রীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ব্যাক্তিগত কাজে ভারতের আগরতলা বিমানবন্দরে থেকে কলকাতা যাব। কিন্তু ইমিগ্রেশন ভবনের সামনে এসে দেখি বৃষ্টি পানি জমে আছে। ইমিগ্রেশন ভবনের ভিতরে কি ভাবে যাব এইটি নিয়ে চিন্তায় আছি।

ভারত থেকে আসা জেলা শহরের এক যাত্রীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দুই দিন ভারতের আগরতলা থেকে আজ বাংলাদেশ এসেছি, আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এর সামনে এসে দিকে বৃষ্টির পানিতে ইমিগ্রেশন ভবনের যাওয়া রাস্তা ডুবে আছে। তাই বাধ্য হয়ে জুতা খুলে প্যান্ট উপরে তুলে ভিজে ভিতরে যাওয়া লাগছে।

এ বিষয়ে আখাউড়া ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা সহকারী উপ পরিদর্শক দেওয়ান মোর্শেদুল হক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন ভবনটি মূল সড়ক থেকে নিচু জায়গায় অবস্থিত, সেই জন্য বৃষ্টি হলেই এখানে বৃষ্টি পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আর দুই-তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি থাকায় পানি সেই ভাবে নিষ্কাশন না হওয়ায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভবনের সামনে চলে এসেছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে।

বার্তা বাজার/জে আই