বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল। চার বছর মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হতে আর এক মাসও বাকি নেই। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ইতোমধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) চিঠি দিয়েছে।

গতকাল (৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের চিঠি পেয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ফেডারেশনগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ খুব দ্রুতই নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সচিব পরিমল সিংহ, ‘আমরা কিছু দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠন করব। কমিশন এরপর নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করবে।’

হকি ফেডারেশনের নির্বাচনী সংস্কৃতি অবশ্য তেমন সুখকর নয়। ২০১৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পাঁচ কাউন্সিলর নিয়ে একটি পক্ষ নির্বাচন বয়কট করেছিল এবং পরবর্তীতে তারা ফেডারেশনের কর্মকাণ্ডেও অংশগ্রহণ করেননি। সেই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সাধারণ সম্পাদককে সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতিকে সাধারণ সম্পাদক করে একটা মীমাংসা হয়েছিল। পরবর্তী নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হলে আবার দুটি পক্ষে ভাগ হয়ে তৈরি হয় অচলাবস্থা। পরবর্তীতে অনেক দিন অ্যাডহক কমিটি দিয়ে ফেডারেশনে কার্যক্রম চলে। এরপর প্রায় এক যুগ পর ২০১৯ সালে হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়।

সেই নির্বাচনে কিংবদন্তী ক্রীড়াবিদ আব্দুস সাদেককে সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত করেছিলেন নতুন সংগঠক একেএম মমিনুল হক সাঈদ। তবে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার কয়েক মাস পর তিনি আর ফেডারেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারেননি। তিন বছর বিদেশ থাকার পর স্বপদে বহাল হয়েছেন সাঈদ। হকি সংশ্লিষ্টদের খবর, আসন্ন নির্বাচনে তিনি পুনরায় একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অথচ এই সাধারণ সম্পাদক পদকে ঘিরেই হকি ফেডারেশনের বিগত সময়ের সকল সংকট তৈরি হয়েছিল।