তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যকরী সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বি এম জাহিদ হাসান।

১/১১ এর সময় আ.লীগের দুর্দিনে দলের কল্যাণে কাজ করেছেন উদীয়মান, সমাজসেবক, বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, মিষ্টভাষী এই ত্যাগী সাবেক ছাত্র নেতা।

তিনি গোপালগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান।

চাচা মোল্লা জালাল উদ্দিন ১৯৭৩ এ ফরিদপুর ১১ আসনের উপনির্বাচনে এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ডাকে রাওয়াল ফিল্ডে গোলটেবিল বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। এছাড়াও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর সরকারের দূত হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন তিনি। ছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুব কাছের এবং বিশ্বস্ত একজন।

তাইতো বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ ও লালন করে রক্তে মিশে থাকা আওয়ামী পরিবারের সন্তান হয়ে ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে নব্বইয়ের দশকে ঢাকা কলেজে অধ্যয়ন কালে ছাত্র রাজনীতিতে নাম লেখান জাহিদ হাসান।

সাবেক ছাত্র নেতা ২০০১ সালের ১লা অক্টোবর নীল নকশার নির্বাচনের পর রাবির কসাই শিবিরের নির্যাতনের স্বীকার হয় এবং পরবর্তীতে কারাবরণ করেন।

২০০৪ সালে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে রাবি ছাত্রলীগের মিছিলে অংশগ্রহণ ও হরতালের ডাক দেওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ২০০৩-২০১০ মেয়াদের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন মুন এর সাথে সহ-সভাপতির দায়িত্বকালীন সময়ে বি এম জাহিদ গ্রেপ্তার হয়।

এছাড়াও ১/১১ তৎকালীন সরকারের দ্বারা অস্বাভাবিক নির্যাতন থেকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করায় এবং ছাত্র গণ-আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় ডিজি এফ আই এর দায়েরকৃত মামলার আসামী হয়ে নির্যাতনের শিকার হয়।

রাজনীতির পাশাপাশি এই নেতা করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রথমে দেশব্যাপী নাগরিক সচেতনায় কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান ও মাস্ক বিতরণ করে। এছাড়াও গরীব, অসহায়, দুঃস্থ ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করে।

তুরাগের এই কান্ডারী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ১৮ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী
এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের পোলিং এজেন্ট এর দায়িত্ব পালন করে। তাঁর মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে বর্তমান সাংসদ হাবিব হাসানের পুলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৩-২০১০ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র লীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন শেষে ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৭ম কংগ্রেসের উপ-খাদ্য কমিটির সদস্য, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন প্রস্তাবিত তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং পরবর্তীতে তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের কার্যকারী সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন।

বর্তমানে তুরাগ থানা আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা।

তিনি সবসময়ই ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তুরাগবাসীর উন্নয়নের কথা ভেবে তাদের পাশে শক্ত ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়াও সামাজিক কর্মকাণ্ডেও সোচ্চার বিএম জাহিদ হাসান।

বর্তমানে তিনি তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকার উন্নয়ন, মাদক নির্মূলে ও যুবসমাজকে মাদকের ভয়াল হাত থেকে রক্ষার জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।

বার্তা বাজার/জে আই