আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাবনার সদর উপজেলার হিমায়েতপুরে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় গ্রেফতার দেলোয়ার মেম্বারকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৩১ মে) দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১ এর বিচারক সৈয়দ মোস্তফা রেজ নুর এই আদেশ দেন।

এদিন গোলাগুলির ঘটনার নেপথ্যের মুলহোসা দেলোয়ার মণ্ডল মেম্বারকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সৌরভ কুমার। তবে আদালত রিমাণ্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে এক দিনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা সদর উপজেলার হিমায়েত পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সৌরভ কুমার।

গ্রেফতারকতৃ দেলোয়ার মণ্ডল হিমায়েতপুর ইউনিয়নের চর বাঙাবাড়িয়া গ্রামের মসলেম মণ্ডল ছেলে এবং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার।

এর আগে ঘটনার পরপরই চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পাবনা সদর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৩ জনসহ কয়েকজন জামিনে রয়েছেন। তবে এখনও তিনজন পলাতক রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ মে সোমবার সন্ধ্যায় হেমায়েতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এ সময় ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান বক্তব্য দিতে শুরু করলে পলাশ নামে একজন বক্তব্য দিতে নিষেধ করেন। এনিয়ে বাকবিতণ্ডা পর রাতে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

পরের দিন ৯ মে দুপুর ১২টার দিকে চরবাঙ্গাবাড়িয়া মুজিব বাঁধের দোকানে বসেছিলেন স্থানীয় কয়েকজন। এ সময় মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন যুবক এসে অতর্কিত গুলি শুরু করে। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে এখনও দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার মূল হোতা পলাশ মন্ডল ও দেলোয়ার মন্ডল এলাকায় বিভিন্নভাবে প্রভাববিস্তার করে আসছে। তারা অবৈধ বালু ও মাদকের সঙ্গে জড়িত। ইতোপূর্বে পলাশের গুলিতে এলাকার জহুরুল মণ্ডল নামের একজন এখনও পঙ্গুতবরণ করেছেন। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই