পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নে পাটিকেলবাড়িতে ঘনবসতিপূর্ন এলাকায় মুরগীর ফার্মের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে নীতিমালা উপেক্ষা করে এলাকার প্রভাবশালী জনৈক কুদ্দুস সিকদার নামে এক ব্যক্তি ঘনবসতিপূর্ন এলাকায় ওই ফার্মটি গড়েছেন। এ বিষয়ে এলাকাবাসী মিলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তারা দ্রুত দুর্গন্ধযুক্ত মুরগীর ফার্মটি অপসারন করে অন্যত্র নেয়ার জোড় দাবী জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।

অভিযোগে জানাযায়, আব্দুল কুদ্দুস সিকদার দীর্ঘ দিন ধরে গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মুরগির খামার স্থাপন করে ব্যবসা করে আসছেন। কুদ্দুস সিকদার ইউনিয়নের পাটিকেলবাড়ী ৮নং ওয়ার্ডের মৃত আজহার আলী সিকদারের ছেলে। বর্তমানে তার খামারে প্রায় আড়াই হাজার মুরগি রয়েছে। মুরগির বিষ্ঠার কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। খামারের পাশে অবস্থিত সরকারি রাস্তা কেটে মুরগীর ফার্মের নিচে পুকুরে খালের পানি চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন। এতে দূর্ষিত হচ্ছে খালের পানিসহ গোটা এলাকার পরিবেশ। একইসাথে প্রতিনিয়ত ফার্মের র্দুগন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসি। অথচ, নীতিমালা অনুযায়ী একটি মুরগির খামার স্থাপনের জন্য ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা পরিত্যাগ করে খামার স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে। তবে কুদ্দুস সিকদার সে আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বেগ্নে পরিবেশের ক্ষতি করে খামারের ব্যবসা করছেন। তার খামারের নেই কোন নিবন্ধন এবং নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতিপত্রও।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কুদ্দুস সিকদারের দেখা না পেয়ে তার ছেলে সাকিল সিকদার বলেন, ওই ফার্মটা আমি পরিচালনা করি। ফার্ম সড়াতে হলে আমার তার খরচ আমাকে দিতে হবে। অন্যাথায় সরানো অসম্ভব। সরকারি রাস্তা কেটে ফার্মের পুকুরে ময়লা খালে সরানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, এরকম সবাই করে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্যানিটারি ইন্সোক্টর মো: হারুন-অর-রশিদ বলেন, উপজেলার অধিকাংশ ফার্ম নিয়ম না মেনে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে। যে কারনে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যর হুমকি হয়ে উঠছে। চাইলে এ বিষয়ে প্রানি সম্পদ দপ্তর ব্যবস্থা নিতে পারেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা তাপষ কুমার ঘোষ জানান, উপজেলার অধিকাংশ মুরগীর ফার্ম নীতি উপেক্ষা করে গড়ে তোলা হয়েছে। এতে পরিবেশ চরম বিগ্নিত হচ্ছে। পাটিকেল বাড়ী এলাকার ওই ফার্মের দুর্গন্ধের বিষয়ে এলাকাবাসীর একটি অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত আইন অনুযায়ি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: ফিরোজ কিবরিয়া জানান, “মুরগীর খামের বিষ্ঠা খালের পানিতে মিশে ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগের সৃস্টি হয়। এছাড়াও ওই ময়লা মিশ্রিত পানিতে শরীরে চুলকানি দেখা দেয়”।

বার্তা বাজার/জে আই