টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে যোগদানের পর থেকে দুই শতাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রশংসায় ভাসছেন আবুল কালাম।

তিনি মির্জাপুরে কর্মরত অবস্থায় গত দুই বছরে হারানো ও চুরি-ছিনতাই হওয়া দুই শতাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। চাকরি জীবনের শেষ পর্যন্ত নিজের জায়গা থেকে মানুষের জন্য নিজের সবটুকু দিয়ে কাজ করার ইচ্ছা পুলিশের এই এএসআইয়ের।

আবুল কালাম ২০০৫ সালে কনস্টেবল পদে ঢাকায় পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। এরপর ২০১৩ সালে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী উপ- পরিদর্শক হিসেবে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের র‌্যাব-৭’এ যোগদানের পর ২০১৬ সালে আবারও ঢাকা জেলার প্রথম কর্মস্থল আশুলিয়া থানায় যোগদান করেন। ২০১৭ সালে নারায়ণগঞ্জের সদর ও রূপগঞ্জ থানায়, ২০১৯ সালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার এবং ২০২১ সালের ফেব্রæয়ারিতে মির্জাপুর
থানায় যোগদান করেন।

এএসআই মো. আবুল কালাম বলেন, আমি পুলিশ বাহিনীকে খুব ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি। বাহিনীতে যোগদানের পর থেকেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে কাজ করি। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মির্জাপুর সার্কেল এস.এম মনসুর মূসা স্যারের দিকনির্দেশনা ও ওসি মাসুদ করিম স্যারের সার্বিক তত্বাবধানে এই মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনায় মানুষের জন্য কাজ করতে খুব ভালো লাগে, চাকরির শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।

মির্জাপুর থানার ওসি মাসুদ করিম বলেন, পুলিশ মানুষের সেবা দেয়ার জন্যই সার্বক্ষণিক কাজ করে, সেবারই অংশ হিসেবে কালাম ভালো কাজ করছেন। আমি তার উত্তোরোত্তর সফলতা কামনা করি।

এএসআই আবুল কালাম সাজাপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ আসামী গ্রেপ্তার করে তার কাজের সফলতা স্বরূপ টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপারের কাছ থেকে পুরস্কার প্রাপ্তও হয়েছেন। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার পুনাইল গ্রামের আহসান উল্লাহ’র ছেলে। ব্যক্তি
জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক।

বার্তা বাজার/জে আই