ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখার জন্য অপশক্তিকে কঠোর হাতে দমন করবে পুলিশ।

বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ পুলিশ। এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন এসপি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা বাংলাদেশ পুলিশ একাত্তরের চেতনায় উজ্জীবিত। একাত্তরে যারা জীবন দিয়েছিল আমরা তাদের চেতনায় উজ্জীবিত। আমাদের পুলিশ একাত্তরে তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছি, ৭৫-এ আমাদের পুলিশ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান তার বুকের রক্ত দিয়েছে। আমরা ২০১২-১৩ সালে আমাদের রক্ত দিয়েছি। আমাদেরকে পুড়িয়ে মেরেছে কিন্তু আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন হতে দেইনি।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পেছনে একটি কারণ ছিল। আর সেটি হলো বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূন্য করা। সেটা করতে পারলে যারা পাকিস্তানের দোসর তারা আবার বাংলাদেশকে পাকিস্তান করতে পারতো। হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে যদি নেতৃত্ব শূন্য করা যায় তবে তাদের পেয়ারা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করা যাবে। আফ্রিকান এক লেখক একটি বই লিখেছিল যেটার নাম ছিল ‘দেয়ার ওয়াজ এ কান্ট্রি’।

জঙ্গিবাদ আমদানি করে পুলিশকে দমনের চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আবার সেই পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন পরশু একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবনতি ঘটানোর জন্য ঢাকা শহরে তাণ্ডব চালিয়েছে। আমরা কঠোর হস্তে অতীতেও এটি দমন করেছি। বর্তমান ও ভবিষ্যতেও এই অপশক্তিকে কঠোর হস্তে দমন করে যাব। আমরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সমন্বিত রাখার জন্য একাত্তরে সক্রিয় ছিলাম, থাকব।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় আর বক্তব্য রাখেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সাথে নিহত এসবি সদস্য সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কুইজ ও রচনা এবং উপস্থিত বক্তব্যে দিয়ে বিজয়ীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন আইজিপি।

বার্তা বাজার/জে আই