টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢল থেকে নেমে আসা পানি তিস্তার তীরবর্তী এলাকা ও নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করায় পানিবন্দি হয়ে পরছে শতাধিক পরিবার। বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙনের কবলে পড়ছে। সদর উপজেলার রাজপুরের দক্ষিণ পাড়ায় ৩৫ টি ঘর বিলিন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে গত সোমবার হাতীবান্ধা উপজেলা ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। পানি উন্নয়য়ন বোর্ডের তথ্য মতে আজ বুধবার ১৬ আগস্ট কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার মধ্যেই রয়েছে বিকেল তিনটা পর্যন্ত।

টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলের জন্য ব্যারাজের ৪৪টি গেটেই খুলে দিয়েছে কতৃপক্ষ। এতে প্লাবিত হচ্ছে তিস্তার নিম্নাঞ্চল সহ নদী তীরবর্তী এলাকা। দ্বিতীয় দফায় পানি আসায় কয়েক হাজার হেক্টর আমন ধানের ক্ষেত পানিতে নিমজ্বিত হয়েছে। জেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। এছারা বন্যার পানিতে অনেক গাছপালা ঘর বাড়ী ভেসে গেছে।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বেশ কিছু বাড়ীতে পানি উঠায় তারা পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য শুকনো খাবার এবং গবাদীর পশুর জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজপুর ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম জানান ভাঙ্গনের ফলে দক্ষিন পাড়ার প্রায় ৩৫ টা বাড়ি বিলীন হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখন কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা পানি টানা বর্ষনের ফলে পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, হয়তো পানি আরও বাড়তে পারে। যেসব এলাকায় আমাদের কার্যক্রম করা সম্ভব সে সব এলাকায় আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন জানান, বিভিন্ন যায়গাতে ঘরবাড়ীঘর ভাঙ্গনের তথ্য পাচ্ছি, তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলমান রয়েছে। যাছাই শেষে তাদের নগদ অর্থ এবং ঢেউ টিন বিতরণ করা হবে।

বার্তাবাজার/এম আই