বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জামায়াত নেতা সাঈদীর মৃত্যুতে যেকোনো প্রকার নাশকতার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্ব স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন চেকপোস্টে তল্লাশি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়গুলোকে আরও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এক কথায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘রাজধানীর নিরাপত্তা সবসময় জোরদার থাকে। ১৫ আগস্টের বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি।’

এদিকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি এবং ইউনিফর্ম টহল বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া, র‌্যাবের টহল বা চেকপোস্ট জোরদার করতে ‘ডগ স্কোয়াড’ দিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী দোয়া-মিলাদ মাহফিলের পাশাপাশি নানা কর্মসূচি রয়েছে। ফলে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাবের গোয়েন্দা ও টহল দল প্রস্তুত রয়েছে।’

তিনি জানান, সব ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে জনবল বাড়ানো হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ইউনিফর্ম টহল বৃদ্ধি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য গণমান্য ব্যক্তিরা যেসব স্থানে যাবেন সেসব স্থানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নিরাপত্তা নজরদারি নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এদিকে ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাঈদী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় একটি মোটরসাইকের অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে।

বার্তা বাজার/জে আই