রাজধানীতে বিএনপির আজকের গণমিছিল নেতাদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা বলে মনে করছেন দলটির অনেকেই। কারণ কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের কোনো নেতা সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকলে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াসহ নেওয়া হবে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা।

ছাত্রদলের সভাপতিকে সরিয়ে দিয়ে সবাইকে এমন সতর্কবার্তায় দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচিতে স্থায়ী কমিটির সদস্য, সিনিয়র নেতা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাদের উপস্থিতির দিকে নজর রাখবে হাইকমান্ড।

শুক্রবার বাদ জুমা দুপুর ২টায় সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে পৃথক গণমিছিল করবে বিএনপি। মহানগর উত্তর বিএনপি বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ার থেকে আবুল হোটেল পর্যন্ত গণমিছিল করবে। একই সময়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি কমলাপুর স্টেডিয়াম থেকে মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত গণমিছিল করবে।

জানা গেছে, প্রতিটি ইউনিট থেকে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি কেমন হয় সেটাওপর্যবেক্ষণ করা হবে। গণমিছিলে অংশ না নিলে কিংবা কোনো ইউনিটের উপস্থিতি কম হলে তাদের তালিকা করা হবে। রাজপথের বিগত কর্মসূচিতে নিষ্ক্রিয় ও সুবিধাবাদীদের ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে।

দলটির নীতিনির্ধারকরা জানান, ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচির দিন কিছু নেতার ভূমিকা ‘হাইকমান্ডের চোখ খুলে দিয়েছে’। দায়িত্বশীল কোনো কোনো নেতার কর্মকাণ্ড মোটেই গ্রহণযোগ্য ছিল না। ইতোমধ্যে ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি সক্রিয়দের মূল্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা সবাই কঠিন সময়ের সম্মুখীন। এর থেকে কঠিন সময় কখনো আসেনি। সুতরাং দলে যারা সাহসিকতার সঙ্গে সামনে থাকবেন, তারা হবেন প্রকৃত নেতা, আগামী দিনের বিএনপির কাণ্ডারি। একজন যোগ্য নেতার আদর্শ, উদ্দেশ্য, সাহস এমনকি প্রয়োজনে দুঃসাহস থাকতে হবে। তার (যোগ্য নেতা) মূল পরীক্ষা হয় তখনই, যখন কঠিন সময় আসে। সুবিধাভোগী নেতাদের এখন আর কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে আজ ঢাকায় গণমন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, গণঅধিকার পরিষদের দুই অংশ, এনডিএমসহ সমমনা রাজনৈতিক দল যুগপৎভাবে একই কর্মসূচি পালন করবে।