নীলফামারীতে যুবককে মারধর করে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোজ্জামেল হক মোজামের বিরুদ্ধে। রোববার(৬আগষ্ট) সকালে নীলফামারী সদর থানায় তাদের তিনজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী হৃদয় সরকার। এর আগে শনিবার(৫আগষ্ট) দুপুরে নীলফামারীর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদের সামনে ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী হৃদয় সরকার জেলা শহরের বাবুপাড়া রবিউল ইসলাম দুলালের ছেলে। অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোজ্জামেল হক মোজাম, সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি এলাকার রহিম ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলাম ও শহরের বাবু পাড়া এলাকার লিখন ইসলাম।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে নীলফামারী কেন্দ্রীয় কবরস্থান মোড় থেকে উকিলের মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন হৃদয় সরকার। এসময় মোজামসহ ১০ থেকে ১২ জন যুবক হৃদয়ের পথ রোধ করে মারধর করে। পরে ধারালো অস্ত্র গলায় লাগিয়ে দিয়ে তার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা দাবী করা হয়। টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা চলে যায়।

ভুক্তভোগী হৃদয় সরকার বলেন, আমাকে কোনো কারন ছাড়াই তারা মারধর করেছে তারা। স্থানীয় লোকজন না আসলে হয়েতো মেরে ফেলতো। তারা যাওয়ার সময় আমকে বলে গেছে, আজ তুই বাঁচি গেলেও এরপর তোকে সুযোগমত পাইলে প্রাণে মেরে লাশ গুম করে দিব, তোর হাত পা ভেঙ্গে চিরতরে পঙ্গু করে দিব। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।

অভিযুক্ত জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোজ্জামেল হক মোজাম বার্তাবাজারকে বলেন, যেহেতু রাজনীতি করি এসব অভিযোগ আসতেই পারে। যাকে আমি মানুষের মারধরের হাত থেকে রক্ষা করে রিক্সায় পাঠায় দিলাম সে যদি এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তাহলে কিছু করার নাই। সেখানে সিসিটিভি আছে থানা পুলিশ ফুটেজ দেখবে আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলাম কিনা।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ পারভেজ প্রিন্স বলেন, এমনটা আমিও শুনেছি। এখন সত্য মিথ্যা পুুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে দেখবেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ শোনা গেলেও সত্যতা পাওয়া যায় নি।

নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বার্তাবাজারকে বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বার্তা বাজার/জে আই