বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনে ঘোড়াও হাসে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে দেবে না, এই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ কে পাস করেছিল ফখরুল সাহেব? আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। এখন আপনারা যখন গণতন্ত্রের কথা বলেন, মানবাধিকারের কথা বলেন, আইনের শাসনের কথা বলেন; তখন ঘোড়াও হাসে, কী বলে ওরা। ’

শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নানক।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আগামী নির্বাচনেও বিএনপিকে জনগণ ভোট দেবে না জেনেই তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। কারণ ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহতের আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করে জীবন্ত মানুষ হত্যা করেছে। বাস, ট্রেন ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে, রাস্তার গাছ কেটে ফেলেছে। শেখ হাসিনা সৃষ্টি করে আর তোমরা ধ্বংস করো।

বিএনপিকে ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নামক দলটির অবশিষ্ট যদি রক্ষা করতে চান তাহলে নির্বাচনের পথে আসুন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। প্রমাণ করুন বাংলাদেশের জনগণ সৃষ্টির পক্ষে না ধ্বংসের পক্ষে?

বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে ১৭ আগস্ট সারা দেশে বোমা হামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ হত্যা, ক্যু, লুটতরাজের রাজনীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সেই বিএনপি-জামায়াত এখন আমাদের গণতন্ত্রের কথা শোনায়, মানবাধিকার শিখায়। বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে অভিযোগ করা জাতীয়-আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোরও সমালোচনা করেন তিনি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র দিয়েছেন, কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন। সেই কারণে কথা বলেন, তবে সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাবেন না। বিএনপি-জামায়াত চক্রান্তে রয়েছে। এই চক্রান্তের অংশ হিসেবেই আজ তারা মানুষের কাছে পৌঁছাতে না পেরে, মানুষের হৃদয়কে জয় করতে না পেরে এখন দৌড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মোড়লদের কাছে। এই আন্তর্জাতিক মোড়লরা আপনাদের ক্ষমতায় আনতে পারবে না।

বার্তাবাজার/এম আই