নিজের কর্মরত দায়িত্ব পালনে ডিউটি থাকা অবস্থায় নিজ রাইফেলের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবল ফিরোজ আহম্মেদ (২৭) আত্মহত্যা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে পঞ্চগড় জেলা শহরের সোনালী ব্যাংকের সামনে পুলিশ বক্সে এই ঘটনা ঘটে।

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর অভিমান করে নিজ রাইফেল দিয়ে গলায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন, পুলিশের প্রাথমিকভাবে ধারণা। নিহত ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর আফতাবগঞ্জ এলাকায়। তিনি ওইএলাকার আবু সাঈদের ছেলে। ঘটনার পর পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন।

পুলিশ সুত্রে জনা যায়, ফিরোজ গত ৩১ জুলাই পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংক গার্ডে যোগদান করেছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে
জেলা শহরের পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখায় দায়িত্ব পালনে ডিউটি থাকা অবস্থায় নিজ রাইফেল দিয়ে গলায় গুলি করে। এ
সময় অন্যান্য সহকর্মীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফিরোজকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো জানান, রাত আড়াইটার সময় তার সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় তার মুখ, নাক, কান ও মাথা দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। গলার নিচে ও মাথার ওপরে একটি ক্ষত চিহৃ ছিল। সম্ভবত এটি একটি বুলেট ইনজুরি বা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অস্বাভাবিক মৃত্যু।

পুলিশ, হাসপাতাল ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ফিরোজ তার স্ত্রী সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ফিরোজ নিজ গলায় গুলি চালায়। পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের পর কনস্টেবল ফিরোজের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বার্তাবাজার/রাহা