সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মহানগর ডিবি পুলিশের এসআই নূর মোহাম্মদ তাপাদারসহ ৬ জন ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে এসএমপি কমিশনার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগীর মা। সোমবার (৩১ জুলাই) গ্রেফতারকৃত আসামী জামাল আহমদ জামিলের মা বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৯ জুলাই রাত ১১ টার সময় সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই নূর মোহাম্মদ তাপাদার, পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বজিৎ দে, কনস্টেবল হান্নান প্রমানিক, উত্তম রায়, সুমন মিয়া ও ড্রাইভার কনস্টেবল মিনহাজ সাদা পোশাকে সিলেট এয়ারপোর্ট থানা এলাকার সাহেবের বাজারের রামপুর গ্রামের জামাল আহমদ জামিলের ঘরে প্রবেশ করে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে বসতঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী জামাল আহমদ জামিলকে এসময় ঘর থেকে বের করে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন এসআই নূর মোহাম্মদ তাপাদার। যদি টাকা না দেওয়া হয় তা হলে আসামী জামিলকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে বলে নূর মোহাম্মদ তাপাদার হুমকি দামকি দেন। তখন অভিযোগকারী নিরুপায় হয়ে আত্নীয়-স্বজনের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন উপস্থিত হয়ে দেখতে পান আসামী জামিলকে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ সদস্যরা মোটরসাইকেল যোগে তার নিজ বাড়ী থেকে সিলেট শহরের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় উল্লিখিত ঘটনা এলাকার বহু মানুষ দেখতে পান।

পরে আসামীর স্বজনরা জানতে পারেন জামিলকে বাড়ী থেকে তুলে নেওয়ার পর ৯০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে চৌকিদেখি এলাকা থেকে আটক দেখানো হয়েছে। বাদীর দাবী তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে নাটক সাজিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে রাতে এয়ারপোর্ট থানায় ডিবি পুলিশ বাদী হয়ে জামাল আহমদ জামিলের নাম উল্লেখ একটি মাদক মামলা দায়ের করে। মামলা নং- (২৩/১৭০) তারিখঃ ২৯/০৭/২৩ খ্রিঃ।

কমিশনার বরাবরে অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, সাহেবের বাজার এলাকায় প্রতিবেশী একটি পক্ষের সাথে জামাল আহমদ জামিলের পৈতৃক জায়গা সম্পত্তি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা রয়েছে, শত্রুলোক দ্বারা বশিভূত হয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে জামিলকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ জরিনা বিবির। ন্যায় বিচারের স্বার্থে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে এসএমপি কমিশনারের নিকট জোরদাবী জানান ঐ ভুক্তভোগী মা।

বার্তা বাজার/জে আই