নিবন্ধন পুনর্বিবেচনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সাতদিন সময় বেঁধে দিল গণ অধিকার পরিষদ (একাংশ)। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে সরাসরি ইসি ঘেরাও করবে দলটি। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) নির্বাচন ভবন ঘেরাও কর্মসূচি থাকলেও নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের প্রতিনিধিদল ইসিতে এসে এ সংক্রান্ত আবেদন জমা দেয়।

এর আগে দলের নেতাকর্মীরা পল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে ইসি ঘেরাওয়ের উদ্দেশে যাত্রা করলেও পথে আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর প্রতিনিধিদলটি ইসিতে আসে।

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান লিখিত আবেদন জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দাবি না মানলে এবার আর দলীয় কার্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করব না। সরাসরি ইসিতে এসে ঘেরাও করব।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে পুনর্বিবেচনার জন্য আপনারা আবেদন করতে পারেন। সেই জায়গা থেকে আমরা আবেদন জানিয়ে সাতদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি।

গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুরের সই করা আবেদনে বলা হয়, শুধু তার দল নয়, তালিকায় থাকা সক্রিয় কার্যকর দলগুলোকে নিবন্ধন দিতে হবে।

নিবন্ধনের জন্য ইসির আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে ৯৬টির মতো আবেদন জমা পড়ে। প্রাথমিক বাছাইয়ে ১২টি দল টেকে। এরপর অধিকতর বাছাইয়ে সেই তালিকা আরও ছোট হয়ে চারটিতে নেমে আসে। যেখানে গণ অধিকার পরিষদের নামও ছিল।

চারটি দলের জন্য উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়ে নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) নামের দল দুটিকে চূড়ান্ত করে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আপত্তি থাকলে তা জানানোর জন্য গণবিজ্ঞপ্তি দেয় ইসি।

তালিকা থেকে বাদ পড়া দলগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়া ছাড়াও তালিকায় থাকা দল দুটির বিরুদ্ধেও আপত্তি জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশনে। বুধবার (২৬ জুলাই) আপত্তি জানানোর শেষ সময়।

বার্তা বাজার/জে আই