বছর দুয়েক আগে বৈশ্বিক করোনা মহামারির সময়ে এক লাইভ অনুষ্ঠানে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে মেন্টর হিসেবে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিছুদিন আগে সেই ইচ্ছার কথা নতুন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও তুলে ধরেন টাইগার ওয়ানডে দলের এই অধিনায়ক।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও ভারতে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে মাশরাফীকে মেন্টর করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। তবে মাশরাফীর মেন্টর হওয়ার বিষয়টি এখন বোর্ডের সিদ্ধান্ত বলে জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

সপ্তাহখানেক আগে সে প্রসঙ্গে জালাল ইউনুস বলেছিলেন, ‘এখন সিদ্ধান্ত তো বোর্ডের। মাশরাফী একজন সংসদ সদস্য। সাবেক অধিনায়ক। সে তো আসার কথা। আনুষ্ঠানিকভাবে আসুক আমাদের কাছে। সে ভালো অধিনায়ক, গুড লিডার। বোর্ডে আসলে আমরা আলাপ করব।’

রোববার (২৩ জুলাই) টিম হোটেলে গিয়ে বাংলাদেশ নারী নারী ক্রিকেট দলের জন্য ৩৫ লাখ টাকা বোনাসের ঘোষণা দেন পাপন। এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মাশরাফীর মেন্টর হওয়ার বিষয়ে মুখ খুলেছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

মাশরাফীর প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘এসব (বিশ্বকাপে মেন্টর) এখন বলার কোনো সুযোগই নেই। বিশেষ করে ওখানে (গণভবনে) যে আলাপ হয়েছে, ওখানেই থাকুক। এসব নিয়ে বাইরে আলাপ করার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

এর আগে বিশ্বকাপে মাশরাফীর মেন্টর থাকার বিষয়টি জানিয়ে দেশের প্রথম সারির এক গণমাধ্যমকে তামিম বলেছিলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলেছি, মাশরাফী ভাইকে বিশ্বকাপের সময় এক-দেড় মাসের ছুটি দিন। আমরা তাকে বিশ্বকাপে মেন্টর হিসেবে পেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী তখনই হেসে বলেছেন, ‘অবশ্যই মাশরাফি যাবে।’ মাশরাফি ভাইকেও তিনি প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।’

তামিমের এমন চাওয়া প্রসঙ্গে সেই গণমাধ্যমকে মাশরাফীও বলেছিলেন, ‘দেখুন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি নির্দেশ দেন, তাহলে তো সেটা অবশ্যই মানতে হবে। কিছু করার নেই। তিনি আমাকে বলেছেন ভাবতে। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, দল ঠিক আছে। এখানে বাড়তি কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। তারপরও সময় হলে দেখা যাবে।’

উল্লেখ্য, আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। আসন্ন বিশ্বকাপে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকা টাইগাররা শিরোপায় চোখ রাখছে। তাই বিশ্বকাপে মাশরাফীকে মেন্টর হিসেবে তামিমের চাওয়া পূরণ হয় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বার্তা বাজার/জে আই