হিরো আলম নিয়ে টুইট করায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিকে তলব করে অসন্তোষ জানিয়েছে ঢাকা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডেকে নিয়ে এই অসন্তোষ জানান অতিরিক্ত সচিব আসাদ আলম সিয়াম।

ছুটিতে থাকায় জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের পক্ষে হাজির হন ভারপ্রাপ্ত প্রধান ও ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর শেলডন ইয়েট।

গত সোমবার ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বনানীর একটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকেরা তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেন। মঙ্গলবার এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস।

ওইদিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’ বুধবার ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ১১টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয়।

তবে শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই প্রতিক্রিয়া নয় বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি। এতে ক্ষুব্ধ হয় ঢাকা। সেই টুইট নিয়ে বৃহস্পতিবার লুইস গোয়েনকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তিনি দেশে না থাকায় তার প্রতিনিধিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শেলডন ইয়েট।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তাঁকে অসন্তোষের কথা জানানো হয়। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘উন্নয়নের অংশীদার হয়ে জাতিসংঘের কাছ থেকে রাজনৈতিক মন্তব্য কাম্য নয়।’

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। বুধবার একই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমেরিকায় যখন–তখন লোক মেরে ফেলে, তখন কি তারা বিবৃতি দেয়, জাতিসংঘ কি বিবৃতি দিয়েছে? বাংলাদেশ হলেই বিবৃতি, মগের মুল্লুক পাইছে ওরা। এভাবে বিবৃতি দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়।’ এসব বিবৃতি বন্ধ করার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তবে বৈঠকে আলোচ্য বিষয় নিয়ে কিছু বলতে নারাজ জাতিসংঘের প্রতিনিধি।

বার্তাবাজার/এম আই