পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নিজামপুর কোষ্টগার্ডের বিরুদ্ধে জেলেদের মারধর করে আহত অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ন্যায়বিচারের জন্য জেলা মৎস্য অফিসার,উপজেলা মৎস্য অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কোষ্টগার্ড হোড কোয়াটারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মৎস্য ব্যবসায়ী জলিল ঘরামী।

জানাযায়, গতকাল মঙ্গলবার(১৯ জুলাই) রাতে সমূদ্র মোহনা থেকে সমূদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ শিকার করা ৪ টি ট্রলার সহ ৪৬ জন জেলেকে আটক করে নিজামপুর কোষ্টগার্ড স্টেশনে নিয়ে আসে কোষ্টগার্ডের সদস্যরা।

এসময় ক্যাম্পে এনে ঐ সকল জেলেদের নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ করা হয় কোষ্টগার্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে। পরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসলে রাতেই ১৮ জেলের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে মাছ ধরবেনা মর্মে মুচলেখা দিলে ট্রলারসহ জেলেদের ছেড়ে দেয়া হয়।

আহত জেলেদের উদ্ধার করে কুয়াকাটা সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।এবং এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৭ জেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায় আলিপুরের মনি ফিসের মালিক,মৎস্য ব্যবসায়ী জলিল ঘরামি। গুরুতর আহত জেলেরা হলেন রাঙ্গাবালি উপজেলার মৌডুবীর দেলোয়ার মৃধা(৩৫),বড়বাশদিয়ার শাহজালাল (৪০),কোড়ালিয়ার মিন্টু(৪২),বড়বাসদিয়ার স্বপন (৪৫),মৌডুবীর জাহাঙ্গীর (৪৭), ও চম্পাপুরের আবুল বাসার(২৭)।

আহত জেলেরা বলেন, তাদের ক্যাম্পে এনে কোষ্টগার্ডের সদস্যরা চিৎকারে শুয়িয়ে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়েছেন এবং কান ধরে ব্যাঙ্গের মত একাধিকবার উঠবস করিয়েছেন।

আলিপুরের মৎস্য ব্যবসায়ী জলিল ঘরামি বলেন,জেলেদের আটকের খবর পেয়ে তিনি কোষ্টগার্ডের ক্যাম্পে ছুটে গেলে কোষ্ট গার্ডের সদস্যরা তাকে গেটের বাহিরে দার করিয়ে রেখে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং ক্যাম্পের ভিতর থেকে তিনি জেলেদের চিৎকার শুনতে পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের খবর দিলে কোষ্টগার্ডের সদস্যরা তাদেরও ঢুকে দিতে চায়নি প্রথমে। একপর্যায়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসলে তারা জেলেদের মারধর থামিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে তাদের কাউকে কিছু না বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে জরিমানা হয়েগেলে জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার(২০ জুলাই) প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মৎস্য ব্যবসায়ী জলিল ঘরামি।

এ বিষয়ে নিজামপুর কোষ্টগার্ড স্টেশনের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মতিউর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমরা প্রতিদিনের ন্যায় টহল পরিচালনা করে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যারা মাছ শিকার করছিল তাদের আটক করি এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতি তে তাদের জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর বেশি কিছুই হয়নি।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু শাহ বলেন,জেলেরা আমাকে মারধরের কথা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তবে লিখিত অভিযোগ এএনো হাতে পাইনি পেলে আমরা আমাদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বার্তাবাজার/রাহা