মানকিগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর কৃষি জমির মাটি বিক্রি ও কৃষকের স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

গত মঙ্গলবার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দুটি লিখিত অভিযোগ করেন কচুয়া গ্রামের জিয়ার উদ্দিনের ছেলে মো: জসিম উদ্দীন। অভিযোগে তিনি উল্ল্যেখ করেন, গত মার্চ মাসে চেয়ারম্যান নাল জমির মাটি খনন করে পুকুর তৈরি করে। যার পরিবর্তে আমাকে সমপরিমান জমি রেজিট্রেশন করে দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনোও আমাকে দেয়নি।

অভিযোগকারী আরো বলেন, গত ১৭ই জুলাই উত্তর মরেুন্ডি মান্নান মোল্লার বাড়ি থেকে ছকেল মোল্লার বাড়ি পর্যন্ত একটি রাস্তার অনুমোদন হয়। ছকেল মোল্লার বাড়ির পাশে আমার জমি থেকে যতখানি মাটি প্রয়োজন ছিল তার থেকে বেশি খনন করে অন্যত্র বিক্রি করে দেন। যাতে বাঁধা প্রদান করলে আমার সঙ্গে তথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে তিনি আমার মোবাইল ফোন ভাঙ্গচুর করেন।

চালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদ অভিযোগের বিষয়ে বলেন, জসিম উদ্দিনের ভাইদের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনেছি। তারা এখনো রেজিস্ট্রেশন করে দেয়নি। তার ঝামেলা থাকলে তাদের ভাইদের সাথে আছে, আমার সাথে নেই। হামলা বকাবাজি ও মোবাইল ভাংচুরের ঘটনা সেখানে ঘটে নি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি সম্পুর্ণ মিথ্যা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শাহরিয়ার রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর দুই পক্ষকে ডেকে তাদের কথা শুনেছি।আমার কাছে মনে হয়েছে বিষয়টা পারিবারিক।উপজেলা চেয়ারম্যানকে বলেছি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।

হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, ইউএনও ও এসিল্যান্ড একটি অভিযোগের বিষয় আমাকে অবগত করেছে। অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগী উভয়ের বক্তব্য শুনে পরবর্তীতে এ বিষয়ে জানানো হবে।

 

বার্তাবাজার/রাহা