আর্থিক লেনদেন ও বিয়ে সংক্রান্ত ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন লক্ষ্মীপুরের যুবক সজিব হোসেন। আর নিরীহ যুবক সজিবের লাশ নিয়ে অপরাজনীতি শুরু করেছে বিএনপি। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই, পুরোটাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

প্রাথমিক সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, সজিব হত্যাকান্ড সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা। বিএনপি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ইতোপূর্বে ভিন্ন একটি ছবি নিয়ে লক্ষ্মীপুরে বিএনপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে গুজব ছড়ায় যার সত্যতা আদৌ পাওয়া যায়নি।

মূলত: ব্যক্তিগত টাকা পয়সা লেনদেনের বিবাদ নিয়ে সজিবকে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কোপায় চার-পাঁচজন যুবক। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রাণ হারান সজিব।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সজিব দৌঁড়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে লক্ষ্মীপুরে মদিন উল্যাহ হাউজিংয়ের একটি বাসার ঢুকছে এবং কিছুক্ষণ পর সেখানে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পূর্বে নিহত সজিব ফ্লাটের মালিক নোমানকে জানিয়েছিল যে, আর্থিক লেনদেন এবং টাকা পয়সা সংক্রান্ত ব্যাপারে সজীবের প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ ছিলএবং সে বিএনপি’র কোন মিছিলে সে অংশগ্রহণ করে নাই কিংবা কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল না। এর আগে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে ঘটনা জানানো হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিত পুলিশ সেই বাসা থেকে সজিবের কোপানো মরদেহটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় ।

লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপারও জানিয়েছেন- পুলিশের কোনো গুলিতে কেউ মারা যায়নি। নিহত সজিব মারা গেছে ছুরির কোপে। তার শরীরে চিকিৎসকরা ৪টি কোপের চিহ্ন পেয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গেছে সজিবের রক্তাক্ত দেহ এবং মারা যাওয়ার দৃশ্য।

এদিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনায় খুন হওয়া সজিবের লাশ নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে বিএনপি। কেউ তাকে বলছে কৃষকদলের কর্মী, কেউ ছাত্রদলের কর্মী। নিজেদের কর্মী বলে গুজব রটিয়ে সরকারের উপর দায় চাপাচ্ছে দলটির নেতারা ও বিএনপি’র গুজব সেল।

এ দিকে স্থানীয় প্রবীন বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও লাশের রাজনীতি শুরু করেছে বিএনপি। ফলে যেকোনো মৃত্যুর দায় সরকারের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। এমন জঘন্য অপকর্ম করতেও ওরা দ্বিধাবোধ করছে না।

বার্তা বাজার/জে আই