রংপুরের মিঠাপুকুরে গ্রাম পুলিশ সদস্য ও তার সঙ্গীয় বাহিনী দ্বারা জোরপূর্বক ফলজ ও বনজ বৃক্ষ কর্তন, মিথ্যা মামলার হুমকি, পুলিশ নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি প্রদান সহ একাধিক অভিযোগ উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) বরাবর গত ২১জুন আবেদন প্রদান করেন ভুক্তভোগী পারিবার’রা।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের ছড়ান গুচ্ছ গ্রামে ভূমিহীন অতি দরিদ্র, অসহায় ১৮ ব্যক্তি পরিবার সরকারি খাস সম্পত্তি সরকারি পুকুরের উপরে কোনরকম মাথা গোঁজার জায়গা করে অতি কষ্টে দিনযাপন করে আসছে। কিন্তু পুকুরের পাড় সম্পূর্ণ বালা হওয়ায় পাড় ধসে পুকুর গর্ভে চলে যায়। তাই তারা মাথা গোঁজার জায়গাটুকু রক্ষায় গাছ লাগায় পাড়কে আকড়ে রাখার জন্য, কিন্তু প্রতিবছর তাদের গাছপালা পুকুর সংস্কার ও আগাছা পরিষ্কারের নামে কেটে ফেলে, গ্রাম পুলিশ হাছেনুর ও তার সঙ্গীয় বাহিনি। শুধু এতেই থেমে নেই হাছেনুর প্রতিনিয়ত ঝগড়া, বাড়ি উচ্ছেদ, মামলার হুমকি, মাঝেমধ্যে পুলিশ নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি প্রদান করেই চলছে, যা ২০১৪ থেকে প্রায় ৯ বছর। তাই নিরুপায় হয়ে, মাথা গোঁজার জায়গাটুকু রক্ষায় অভিযোগ প্রদান করেন।

বুধবার(১৯ জুলাই) উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের ছড়ান গুচ্ছগ্রামে সরেজমিনে গেলে একাধিক কর্তনকৃত ফলজ ও বনজ গাছের গোড়া সহ কিছু গোলাই দেখতে পাওয়া যায়। বাকি গাছের গোলাই গুলো কোথায় জানতে চাইলে ভুক্তভোগীরা বলেন, গ্রামপুলিশ সদস্য হাছেনুর ও তার সঙ্গীরা গাছ কেটে কিছু গাছ নিয়ে গেছে বাকি গুলা নিয়ে যেতে ও কাটতে বাধা দিলেও তারা শোনেনি পরে তারা গাছ রেখে গেলেও বলে যায় তুলে না নিলে পরে এসে তারা নিয়ে যাবে। তাই আমরা বাকি গাছ গুলা তুলে এনেছি। তবে কর্তনকৃত এক তৃতীয়াংশ গাছের গোড়া কেনো নেই জানতে চাইলে ভুক্তভোগীরা বলেন, পুকুর পাড়ে অনেক ভাঙ্গা ও বড় গর্ত ছিলো তারা গাছের গোড়া তুলে ও ডালপালা গুলা ঐ গর্তে ফেলে উপরে মাটি দিয়ে গর্ত ভর্তি করেছে।

পুকুর পাড়ের পূর্বপার্শে বসবাসরত ফজলুর রহমান(৪৫) জানান, আমার ২-৩ বারে অনেক গুলা গাছ কেটেছে হাছেনুর ও তার সঙ্গীরা। সব গাছ গেলেও এখন পযন্ত বাঁশঝাড় গুলো ধরে রেখেছি সেগুলাও কাটার জন্য বার বার তারা আসে। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে আরও বলেন আমার ৫ বছর বয়সী সন্তান হঠাৎ অসুস্থ হলে আমি চিকিৎসার জন্য আমার বাড়ির ভিতরের ২টি গাছ বিক্রি করেছিলাম। কিন্তু হাছেনুর চকিদার গাছের ব্যাপারিকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে গাছ বিক্রিতে বাধা প্রদান করেন। এর জ্বালায় আমরা অতিষ্ঠ তাই একাধিক বার ইউএনও ও এসিলেন্ডকে অভিযোগ দিয়েছি, বন্দবস্তো চেয়েছি তবুও কোন ফলাফল পাইনি আমরা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, আমি সবেমাত্র দায়িত্ব গ্রহন করেছি তবে অভিযোগ অনুযায়ী, সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বার্তা বাজার/জে আই