প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৪ দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক হবে। দীর্ঘ ১৬ মাস পর তিন জোটের নেতাদের সঙ্গে বসছেন।

জোট সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। বিএনপি ও তার মিত্রদের সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করা হবে। সেইসঙ্গে দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতি ও জনজীবনের সংকট মোকাবিলায় জোটের কার্যক্রম শক্তিশালী করার বিষয় নিয়েও শরিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন শেখ হাসিনা।

গতকাল রোববার রাতে জোট শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জোট নেতাদের বৈঠকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, বৈঠকের জন্য শরিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

গত বছর ১৫ মার্চ ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক করেন জোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার প্রায় তিন বছর পর আওয়ামী লীগ প্রধানের সঙ্গে ওই বৈঠক হয়। বৈঠক থেকে আগের তিনটি জাতীয় নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও জোটগতভাবে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত জানান শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ‘অবহেলা ও অবমূল্যায়নের’ অভিযোগ আনা ক্ষুব্ধ জোট শরিকদের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচানো ও মান-অভিমান দূর করার উদ্যোগ নেন তিনি।

সূত্র জানিয়েছে, বুধবারের বৈঠকে জোটের প্রতিটি শরিক দলের দু’জন করে শীর্ষনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দলগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়করা বৈঠকে অংশ নেবেন। তবে শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক কয়েকজন নেতা এই বৈঠকে থাকবেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ উপদেষ্টা পরিষদ ও সভাপতিমণ্ডলীর কয়েকজন নেতা বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। বৈঠকে আমন্ত্রিত সব নেতার করোনা পরীক্ষা বৈঠকের আগেই করতে বলা হয়েছে।

বিএনপি-জামায়াত জোটবিরোধী আন্দোলন শেষে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ও মহাজোট। তবে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় ১৪ দল শরিকদের কারও ঠাঁই হয়নি। এর আগের দুই মেয়াদের সরকারে থাকা মহাজোট শরিক জাতীয় পার্টির নেতারাও মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন।

বার্তাবাজার/এম আই