গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ফের দলে ফিরছেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সোমবার (২৭ জুলাই) বিকেল থেকে ফেসবুকে এ বিষয়ে ব্যাপক লেখালেখি দেখা গেছে।

সোমবার বিকেলে গাজীপুর সিটি করপোশেনের নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার পর এ গুঞ্জন শুরু হয়। বিশেষ করে জাহাঙ্গীর আলম সমর্থক ও সাধারণ নাগরিকরা এ বিষয়ে নানা কথা লিখছেন ফেসবুকে।

তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বিস্তারিত কিছু জানাননি।

এ বিষয়ে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে। তার সঙ্গে সিটি করপোরেশনের উন্নয়নের বিষয়ে কথা হয়েছে।

কী কী বিষয়ে কথা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় হলে সবই জানতে পারবেন।

তাকে সহসা দলে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এটি নেত্রী ও দলের সিদ্ধান্তের বিষয়। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলে দলের সাধারণ সম্পাদক আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদন করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার তাদের সাক্ষাতের সময় দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য একদিন আগে জায়েদা খাতুন ও জাহাঙ্গীর আলম করোনা পরীক্ষা করান এবং সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। সোমবার দুপুর ১টার দিকে তারা নিজ গাড়ি নিয়ে গাজীপুর মহানগরের ছয়দানা এলাকায় বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। গাড়ির সামনের আসনে মা জায়েদা খাতুন এবং পেছনে জাহাঙ্গীর আলমকে বসা দেখা গেছে।

এর আগে গত ৩ জুলাই নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গণভবনে মা জায়েদা খাতুনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম।

২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হলে জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। দল থেকে বহিষ্কারের সাতদিন পর ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে জাহাঙ্গীর আলমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন দল তাকে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেয়।

গত ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হন জাহাঙ্গীর আলম। পরে ফের তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ঋণখেলাপির দায়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। মা জায়েদা খাতুন মেয়র নির্বাচিত হন।

বার্তা বাজার/জে আই